মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণে অনিয়মে ইউএনও অফিস ঘেরাও
১০ টাকা কেজির চাল বিতরণে অনিয়মে ইউএনও অফিস ঘেরাও
ফুলবাড়ি (দিনাজপুর) সংবাদদাতা হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণে অনিয়মের প্রতিবাদে গত রবিবার দিনাজপুরের খানসামা ইউএনও অফিস ঘেরাও করে স্থানীয় সিপিবি’র নেতাকর্মীসহ হতদরিদ্ররা। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে দাবির সমর্থনে বক্তব্য রাখেন জেলা সভাপতি অ্যাড. মেহেরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাদল, গোলাম কিবরিয়া, ফুলবাড়ি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এসএম নূরুজ্জামান জামান, শওকত আলী, অ্যাড. রেয়াজুল ইসলাম রাজু, দয়ারাম রায়, ইকবাল হাসান সিদ্দিকী, ছাত্রনেতা অমৃত কুমার রায় প্রমুখ। ঘেরাও শেষে উপজেলার ১০ টাকা কেজি দরের চাল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত তিন হাজার হতদরিদ্র মানুষের একটি তালিকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার ৭ নং শিবনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উদাসীনতার কারণে সেপ্টেম্বর মাসের ১০ টাকা কেজি দরের চাল পাননি এক হাজার ২০০ জন হতদরিদ্র। এতে হতদরিদ্রদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ৭ ইউনিয়নের সাত হাজার ১০০ জন দরিদ্র পরিবারকে নির্ধারণ করা হয়। এরমধ্যে ১ নং এলুয়ারি ইউনিয়নে এক হাজার, ২নং আলাদিপুর ইউনিয়নে এক হাজার, ৩ নং কাজিহাল ইউনিয়নে এক হাজার, ৪ নং বেতদীঘি ইউনিয়নে এক হাজার, ৫ নং খয়েরবাড়ি ইউনিয়নে ৯০০, ৬ নং দৌলতপুর ইউনিয়নে এক হাজার ও ৭ নং শিবনগর ইউনিয়নে এক হাজার ২০০ জন রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন হতদরিদ্র জানান, অন্যান্য ইউনিয়নের মানুষ ১০ টাকা কেজি দরে চাল পেলেও চেয়ারম্যানের খামখেয়ালিপনার কারণে তারা সেই চাল এখনো পাননি। তালিকাভুক্তির জন্য জনপ্রতি ৩০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে তাদের কাছ থেকে। সময়মতো তালিকা দিলে তারাও সেই সুবিধা নিতে পারতেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ ইউনিয়নের কয়েকজন ইউপি সদস্য বলেন, সময়মতো হতদরিদ্রদের তালিকা তৈরি করে ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেওয়ার পরও চেয়ারম্যান রহস্যজনক কারণে সেটি জমা না দিয়ে কালক্ষেপণ করেছেন বলেই হতদরিদ্ররা চাল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ চৌধুরী বিপ্লব বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর তারিখে হতদরিদ্রদের তালিকা খাদ্য দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে এতে কিছু ভুলত্রুটি থাকায় সেগুলো আবার সংশোধন করা হচ্ছে। তালিকা তৈরিতে দেরি হওয়ায় এমন সমস্যা হয়েছে। ছবিসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তারা ৩০ টাকা করে নিয়েছে। এর সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।