বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি | সম্পাদক বলছি » ১০ টাকা কেজির চালে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী
১০ টাকা কেজির চালে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী
ডেস্কঃ
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণে কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
“যদি কেউ অনিয়ম করে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” সংসদে বলেছেন তিনি।
বুধবার আইনসভায় সংসদ সদস্য শওকত হোসেন বাদশার এক প্রশ্নের জবাবে এই সতর্কবার্তা দেন সরকার প্রধান।
ব্যবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, “যারা ডিলার আছে, তাদের ডিলারশিপ বাতিল করে দেওয়া হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধি, তারা যদি কোনো অনিয়ম করে, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নেব।”
গত সেপ্টেম্বর থেকে গ্রামীণ জনপদের অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য প্রতিকেজি চাল ১০ টাকা দরে বিক্রি শুরু করেছে সরকার। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, মার্চ ও এপ্রিল এই পাঁচ মাস ৫০ লাখ পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।
এ কর্মসূচি দীর্ঘমেয়াদে চলবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, “এতে দেশের আড়াই থেকে তিন কোটি লোক উপকৃত হবে এবং এ দেশের আর কেউ না খেয়ে কষ্ট পাবে না।”
তবে অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষাপটে এই কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে সুবিধাভোগীর যে তালিকা করা হয়েছে, তা যাচাই করে দেখতে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেন তিনি।
“পাশাপাশি আমাদের সরকারি কর্মকর্তা যারা এরসঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদেরকেও আমার অনুরোধ থাকবে, তারা এটা দেখবেন কীভাবে এটা অনিয়ম হয়েছিল।”
তিনি বলেন, যারা স্বচ্ছল, বাজার থেকে কিনে খাওয়ার সামর্থ্য আছে, তারা এই চাল পাবে না। যাদের সামর্থ্য নেই, তাদের নামই কেবল এই সুবিধাভোগীর তালিকায় আসবে।
অতিদারিদ্র্যের হার আগামী চার বছরে ৯ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার পরিকল্পনার কথাও সংসদে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “অতিদারিদ্র্যের হার ২০১৫ সালের ১২ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ৮ দশমিক ৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।”
একই সময়ের মধ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন ২৩ হাজার মেগাওয়াট এবং বিদ্যুতায়নের বিস্তৃতি ৯৬ শতাংশে উন্নীত করা হবে বলে তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী জানান, হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করা হলে স্বাক্ষরতার হার ৭০ শতাংশের বেশি হবে।
জেলা সদর হাসপাতালে পর্যায়ক্রমে করোনারি কেয়ার ইউনিট চালুর প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগ চালুর কথাও বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের বিষয়ে বলেন, “কেবল অস্ত্র দিয়ে আজকের এই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করা যাবে না। সকল সামাজিক শক্তির উদ্যোগে মানবিক চেতনা জাগরিত করে মানুষের মনোজগতে পরিবর্তন আনতে হবে।”