তীরে এসে তরি ডুবল বাংলাদেশের
পক্ষকাল ডেস্ক
৫ উইকেটে ২৭১। সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে জয়। করতে হবে ৩১০। সাকিব আল হাসান দুর্দান্ত খেলছেন। ইমরুল কায়েস দারুণ সেঞ্চুরির পর আছেন ক্রিজে। সবার বিশ্বাস, বাংলাদেশ জিতবে। কিন্তু তীরে এসেই ডুবল তরি। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল টাইগারদের ইনিংস। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেটি অসাধরণ জয় হওয়ার কথা সেটিতে হারের বিষাদে ঢাকা পড়ল ক্রিকেট পাগল দেশটা।
বৃথাই গেল ইমরুলের উপেক্ষার জবাব দেওয়া ১১২ রানের ইনিংস। বৃথাই গেল সাকিবের ৫৫ বলে খেলা ৭৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ৩০১০ করে জিতলে বাংলাদেশের দেশের মাটিতে নতুন সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড হয়। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো ৩০০ পেরিয়ে জেতা হয়। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ১০ ওভারে ভেঙে পড়া শুরু। সেই ধারাবাহিকতায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ মুঠো গলে বেরিয়ে গেল। হারতে হল ২১ রানে। পেছন থেকে উঠে এসে জিতল ইংল্যান্ড।
প্রস্তুতি ম্যাচে ৯১ বলে ১২১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে একাদশে ফিরেছেন ইমরুল। দারুণ চ্যালেঞ্জের এই ম্যাচে ১৫৩ রানে ৪ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। তখন ২৭তম ওভার। ম্যাচে ভালো ভাবেই আছে বাংলাদেশ। সাকিব ও ইমরুল ১১৮ রানের জুটি গড়লেন পঞ্চম উইকেটে। পৌনে আটের মতো ওভার প্রতি রান। ছয় বছর পর ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করলেন ইমরুল। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। সাকিবের ধারালো ব্যাটে সবকিছু টাইগারদের পক্ষে। এই সময় অভিষিক্ত জ্যাক বলের আঘাত। জোড়া উইকেট পরপর দুই বলে। ১৭ বলে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে জেতা ম্যাচ হারার অভিজ্ঞতা হল বাংলাদেশের। ৭ ওভারেই সর্বনাশ টাইগারদের
ইংল্যান্ড : ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩০৯
বাংলাদেশ : ৪৭.৫ ওভারে ২৮৮
ফল : ইংল্যান্ড ২১ রানে জয়ী।