বৃহস্পতিবার, ১ জানুয়ারী ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » আজ পল্লীকবি জসিম উদ্দীনের ১১২তম জন্ম বার্ষিকী
আজ পল্লীকবি জসিম উদ্দীনের ১১২তম জন্ম বার্ষিকী
ফরিদপুর প্রতিবেদক : “ওইখানে তোর দাদির কবর ডালিম গাছের তলে, ত্রিশ বছর ভিজিয়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে/আসমানিদের দেখতে যদি তোমরা সবে চাও, রহিমুদ্দির ছোট্র বাড়ি রসুলপুরে যাও”- গ্রামীণ জীবনকে উপজিব্য করে এমনি আবগমী অসংখ্য কবিতা রচনার মাধ্যমে বাংলার গণমানুষের হ্রদয়ে স্থান করে নেয়া পল্লীকবি জসিম উদ্দীনের ১১২ তম জন্মবার্ষিকী আজ ১লা জানুয়ারী ২০১৫।
১৯০৩ সালের এই দিনে ফরিদপুরের কৈজুির ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন তিনি।
কবির পুরো নাম জসীম উদ্দীন মোল্লা। বাবার নাম আনসার উদ্দিন মোল্লা। তার লেখা কবর কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য অবদান। জসীমউদ্দীন ১৯২১ সালে ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি. এ. এবং এম. এ. শেষ করেন যথাক্রমে ১৯২৯ এবং ১৯৩১ সনে। ১৯৩৩ সনে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মে যোগদান করেন। তিনি ১৯৭৬ সালের ১৩ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।
“নকশী কাঁথার মাঠ’, সোজন বাদিয়ার ঘাট, বালুচর, ধানক্ষেত, রঙিলা নায়ের মাঝি ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।”
সাধারণ মানুষকে নিয়ে কবিতা লিখে তিনি অর্জন করেছেন পল্লীকবির খেতাব। আর তাই দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আজো কবির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কবির বাড়ীতে প্রতিনিয়ত ছুটে আসে মানুষ।
কয়েকজন দর্শনার্থীর দাবী, কবির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিনিয়ত গ্রাম বাংলার মানুষ ছুটে আসেন কবির বাড়ীতে তার আপন অস্তিত্বের সন্ধানেই। এসকল দর্শনার্থীদের দাবী কবির স্মৃতি সংরক্ষণে আরো বেশী যতœবান হওয়ার।
প্রতিবছরই কবির জন্মদিন উপলক্ষে পল্লীকবির বাড়ীর আঙ্গীনায় কুমার নদীর পাড়ে পক্ষকালব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়। তবে এবছর আগামী ১০ জানুয়ারী থেকে এ মেলা শুরু হবে জানিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে পল্লীকবির বাড়ীর সামনে দিয়ে প্রবাহিত হওয়া কবির কবিতার প্রাণ কুমার নদীটি নাব্যতা হারাতে বসেছে। অবিলম্বে এ নদীর নাব্যতা ফেরাতে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী স্থানীয়দের।
ফরিদপুরের সংস্কৃতি কর্মী মফিজ ইমাম মিলন জানান, কুজম্বর আলী নামে ছদ্মনামে লিখতেন পল্লীকবি জসিম উদ্দীন। কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় সাংস্কৃতিককর্মীদের মিলনমেলা বসে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী জানিয়েছেন কবির জন্মদিন যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের পাশাপাশি ১০ জানুয়ারী থেকে মেলার আয়োজন ও অবিলম্বে সংগ্রহশালা উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
কবির চেতনা সর্ব শ্রেনীর মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে গণমানুষের হৃদয়ে কবিকে বাঁচিয়ে রাখার দাবী ভক্তদের