শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | জেলার খবর » ৬দিনের ছুটি শেষে কর্মচ ল বেনাপোল স্থলবন্দর
৬দিনের ছুটি শেষে কর্মচ ল বেনাপোল স্থলবন্দর
বেনাপোল থেকে এনামুল হক॥
আশুরা ও দুর্গা পূজা উপলক্ষে টানা ছয়দিনের ছুটি শেষে যশোরের বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। পণ্য লোড-আনলোডে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টায় ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
সকালে বেনাপোল স্থলবন্দর ঘুরে দেখা যায়, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাস্টমস, বন্দর, সিঅ্যান্ডএফ, ট্রান্সপোর্ট, ব্যাংক ও ইনস্যুরেন্স অফিস খুলেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। অফিস খুলেছে বন্দরের পণ্য লোড-আনলোডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক ইউনিয়নগুলো।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নাদিম আহম্মেদ জানান, ছুটি শেষে কাস্টমস হাউজের প্রতিটি শাখায় অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সকাল পৌনে ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে ১৫টি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে এসেছে। পস্তুতি চলছে রফতানি বাণিজ্যেরও।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, ছয়দিন পর আমদানি-রফতানি শুরু হওয়ায় কিছুটা পণ্যজট রয়েছে। আমদানি পণ্য দ্রুত খালাস করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, স্থলপথে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ৮০ ভাগই আসে এ বন্দর দিয়ে। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৫০ থেকে ৪০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়। রফতানি হয় ১৫০ থেকে ২০০ ট্রাক পণ্য। প্রতিবছর এ বন্দর থেকে সরকার প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার রাজস্ব পায়। বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের কলকাতা শহরের দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। আড়াই থেকে তিন ঘণ্টায় একটি ট্রাক কলকাতা থেকে পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে পারে। ফলে এ বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন খরচও কম। তাই ব্যবসায়ীদের এ পথে আমদানি-রফতানি করার আগ্রহ বেশি।