কৃষিতে নারীর শ্রমকে স্বীকৃতির দাবি
- পক্ষকাল ডেস্ক ঃ
ভূমিতে নারীর সমঅধিকারের পাশাপাশি কৃষিতে তাদের শ্রমের স্বীকৃতি ও বাজার ব্যবস্থাপনায় নারীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে নারী প্রগতি সংঘ ও নারী মৈত্রী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ‘কৃষিতে নারীর অবদানের মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি প্রদান, ভূমিতে নারীর সমঅধিকার এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় নারীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা হোক’ শিরোনামে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
নারী প্রগতি সংঘ ও নারী মৈত্রীর এই যৌথ আয়োজনে বেসরকারি সংস্থা অক্সফামও অংশ নেয়।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনের এই সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহিন আকতার।
তিনি বলেন, ক্ষুধার বিরুদ্ধে সংগ্রামে নারীর অবদান ও স্বীকৃতি উচ্চারণের বাইরে থেকে যাচ্ছে। কৃষিতে নারীর অবদানকে অবৈতনিক পারিবারিক শ্রম হিসেবে গণ্য করা হয়, যদিও নারীরা খামার ও পরিবারের উৎপাদনের জন্য দ্বিমুখী চাপ সহ্য করে।
নারী মৈত্রীর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি পাঠ করেও শোনান সংস্থাটির এই পরিচালক।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০০৫-২০০৬ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী দেশের এক কোটি বিশ লাখ শ্রমিকের প্রায় ৭৭ শতাংশই গ্রামীণ নারী, যা এখন আরও বেড়েছে। কিন্তু শ্রমশক্তিতে নারীদের এই বর্ধিত অংশগ্রহণের পরও নারীর কম বেতন পাওয়া অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে নারী কৃষি শ্রমিকের মজুরি পুরুষের তুলনায় ৪১ শতাংশ কম।
সরকারের নীতি কৌশলের সঙ্গে নারীর কৃষিশ্রমের যোগসূত্র এখনও স্থাপিত হয় নি। ফলে রাষ্ট্রীয় প্রণোদনার অংশ হিসেবে ২০১৫ সালে দেওয়া এক কোটি ৩৯ লাখ কৃষক কার্ড বিতরণ করা হলেও নারী কৃষকরা তা পান নি।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, নারী পুরুষের সমান অধিকারের সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকা সত্ত্বেও পুরুষরা দেশের ৯৬ শতাংশ জমির মালিক, যেখানে নারীর মালিকানা অবশিষ্ট মাত্র ৪ শতাংশ।
এ অবস্থায় কৃষিতে গ্রামীণ নারীর অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া ও উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানান তারা।
এসব প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় রেখে গ্রামীণ নারীর দারিদ্র্য ঘোচাতে এবং কৃষক হিসেবে তাদের স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।
বিএনপিএসের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবিরের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বিআইডিএসের ফেলো ড. এম আসাদুজ্জামান, অক্সফামের সিনিয়র পলিসি অফিসার মেহবুবা ইয়াসমিন বক্তব্য রাখেন।