বৃহস্পতিবার, ১ জানুয়ারী ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ঠাকুরগাঁওয়ে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সরিষার ফুলের সমারোহ
ঠাকুরগাঁওয়ে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সরিষার ফুলের সমারোহ
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ উত্তরের শস্য ভান্ডার ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বৈরী আবহাওয়া স্বত্বেও এবার এ অঞ্চলে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সরিষা ক্ষেত থেকে মধু আহরণে অনেকটা বাড়তি আয়ের পাশাপাশি ফলন বৃদ্ধির সহায়তা পাচ্ছে কৃষক।
ঠাকুরগাঁওয়ের পথে-ঘাটে সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধ আর বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে হলুদ রঙে’র সমারোহ। দৃষ্টি নন্দিত এ দৃশ্যে যেন জুড়িয়ে যায় প্রাণ। মনকে ধারণ করে আছে সরিষা ফুলের গন্ধে ভরা সুঘ্রাণ।
গত বছর আশানুরূপ ফলন ও ভাল দাম পাওয়ায় এবার জেলায় ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে সরিষার চায়। ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার প্রায় ৪ হাজার ৬’শ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কিন্তু আবাদ হয়েছে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে।
বৈরী আবহাওয়া স্বত্বেও এবার এ অঞ্চলে সরিষার বাম্পার ফলনের আশায় বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা চাষ করেছেন চাষীরা ।
অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল সরিষা চাষে কৃষকে পরামর্শ প্রদান ও সহায়তা করে আসছে কৃষি বিভাগ। সরিষা ক্ষেত থেকে অনেকে মধু আহরণ করছেন। মধু আহরণে অনেকটা বাড়তি আয়ের পাশাপাশি সরিষার ফলন বৃদ্ধির সহায়তা পাচ্ছে কৃষক।
সদর উপজেলার রায়পুর এলাকার সরিষা চাষি আব্দুল মজিদ জানান, বিঘা প্রতি ৬ মন সরিষা উৎপাদন হলেও সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে তারা ভালোই লাভবান হবেন। অন্য ফসলের চেয়ে সরিষা চাষ বেশ লাভজনক। তিনি সরিষা তুলে একই জমিতে বোরো ধান লাগাবেন ।
বাড়তি ফসল হিসেবে এ অঞ্চলে সরিষা চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সরিষা চাষ করে অনেক কৃষকের ঘুরেছে ভাগ্যের চাকা। সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এবং সরিষার ভালো মূল্য পেলে এ অঞ্চলে সরিষা চাষের পরিধি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন কৃষিবিদরা।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ভূপেশ কুমার মন্ডল বলেন, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর সরিষার চাষ বেশি হয়েছে। তবে তীব্র শীত ও ঘন কুঁয়াশা কিছুটা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। তারপরও সার্বিক আবহাওয়া অনুকুল থাকায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।