রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ | অর্থনীতি | জেলার খবর | ব্রেকিং নিউজ » ১০ টাকার চাল লুটপাটে মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক
১০ টাকার চাল লুটপাটে মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক
ডেস্কঃ সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আইউব হোসেনের আপন দুই ভাই, ব্যবসায়ী, প্রবাসী, গরু ফার্ম মালিক, দ্বিতল ভবনের মালিকসহ স্বচ্ছল ব্যাক্তিদের তালিকায় নাম দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ওই ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের ৩২৯টি কার্ডের মধ্যে তার নিজ গ্রাম আনন্দবাসে কার্ড দেয়া হয়েছে ১৩১টি। তালিকার বাকি ১৯৯টি টি কার্ড ১১টি গ্রামে ভাগ করে দেয়া হয়েছে।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর তালিকা অনুযায়ী খোজ জানা গেছে, বাগোয়ান ইউনিয়নের আনন্দবাস গ্রামে চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেনের বাড়ি। সেই সুবাদে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ১০টাকা কেজি চালের তালিকায় আনন্দবাস পশ্চিমপাড়ার চেয়ারম্যানের আপন দুই ভাই মো: খালেক, আলী ইয়াসিন, চাচাত ভাই মজিবর রহমান, একই গ্রামের দ্বিতল ভবনের মালিক সুনিল সরকার খাদ্যবান্ধব কার্ডের সুযোগ পেয়েছেন। সুনিল সরকারের ছেলে সেতু চেয়ারম্যানের সাথে অধিকাংশ সময় থাকেন বলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীতে তাকে সুযোগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
একই ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহান আলীর স্ত্রী সুন্দরী খাতুন, গরু ব্যবসায়ী ওয়াহেদ মোল্লা, কৃষি জমি ও চায়ের দোকান মালিক আবদুল্লাহসহ এ ধরণের স্বচ্ছল লোকজনকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চালের কার্ড দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সোনাপাড়া গ্রামের এক ব্যাক্তি বলেন, জাহান নবী মালয়েশিয়া থাকেন এবং ওয়াহেদ মোল্লা গরু ব্যবসা করায় তিনিও স্বচ্ছল ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিত।
মানিকনগর গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী রুমি খাতুনও এই তালিকায় কার্ড পেয়েছেন। খোজ নিয়ে দেখা গেছে কেদারগঞ্জ বাজারে ফ্রেন্ডস কসমেটিকস নামে নজরুল ইসলামের একটি ষ্টেশনারী দোকান রয়েছে। একই গ্রামের গরু খামারী আমজাদ হোসেনও পেয়েছেন ১০টাকা কেজি চালের কার্ড।
স্থানীয় ইউপি’র ৩ নম্বর সদস্য (সোনাপুর ও মাঝপাড়া গ্রামের) সোহরাভ হোসেন জানান, জাহান নবী বিদেশে না ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরী করেন। আর গরু ব্যবসায়ী ওয়াহেদ মোল্লা আগে ব্যবসা করতেন এখন আর করেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন বলেন, আমার আপন দ্ভুাইসহ চাচাত ভাই ওই তিনজনই অস্বচ্ছল। তাদের কোনো জমি নাই। তারা দরিদ্রদের মধ্যেই পড়ে। এছাড়া সুনিল সরকারের কোনো দ্বিতল ভবন নাই ওটা তার ভাইদের ভবন। তিনি আরো বলেন, সোনাপুরের ওয়াহেদেরও কোনো জমি নাই। মাঝে মাঝে গরুর ব্যবসা করেন। এছাড়া কেদারগঞ্জ বাজারের ফ্রেন্ডস কসমেটিক্স’র মালিক নজরুল ইসলামের স্ত্রী রুমী এই তালিকায় আছেন কিনা তিনি জানেন না।
এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, এ ধরণের তথ্য শুনেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুত্রঃ মেহেরপুর নিউজ