নাটোরে আমন ধানের বাম্পার ফলন
নাটোর থেকেঃ
নাটোরে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে।আর এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় সামনে লাভের আশায় রয়েছে কৃষকেরা।
জানা গেছে,জেলায় এবার ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ও উকনমধু ধানের চাষ হয়েছে।সঠিক সময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় ও সার,শ্রমিকের সহজলভ্যতা থাকায় ধান চাষের ওপর কৃষকের ঝুক ছিলো বেশী।রোগ বালাই কম হওয়ায় ও অনুকুল পরিবেশ বজায় থাকায় ফলনও হয়েছে বাম্পার।এছাড়াও স্বাভাবিক পরিবেশের মধ্যেই ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছে বলে কৃষকের মুখে যেমন লেগেছে হাসির ছোয়া, তেমনি ন্যায্য মূল্য নিয়েও মনে রয়েছে লাভের আশা।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকার ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকের ধান কেটে ঘরে তোলার নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক পরিবারগুলো।পাকা ধানের সোনালী রঙ্গে ভরে উঠেছে ধানের ক্ষেতগুলো।মনে হয়েছে যেনো কৃষক পরিবারের দুঃখ,দুর্দশা মোচন করে তাদের ভাগ্য ফেরাতে আল্লাহর অশেষ নিয়ামত ঢেলে দিয়েছেন কৃষকের কষ্টে ফলানো ধান ক্ষেতের মাঝে।
জেলার বড়াইগ্রামের লক্ষীপুর গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দিন জানান,খাদ্যের চাহিদা মেটাতে প্রতিবছরই কম/বেশী ধানের চাষ করে থাকি।তবে এবার পরিমান মত বৃষ্টি পাত হওয়ায়,সার খরচ ও শ্রমিকের সহজলভ্যতা থাকায় আগ্রহ ছিলো বেশী,ফলনও হয়েছে বাম্পার,বাজারে ধানের দর ভালো থাকলে আমাদের লাভের আশা পূরন হবে।কৃষক সায়েদ আলী জানান,ধান চাষে এ বছর তাদের ২-৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।তাতে বিঘা প্রতি ২০-২৫ মন হারে ধান পাবে বলে আশা করছে। বাজারে ন্যায্য মূল্য পেলে লাভের আশা পূরনের পাশাপাশি আগামীতে ধান চাষে তাদের আগ্রহটাও আরো বাড়বে।
তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন,বর্তমানে ধানের বাজার ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় রয়েছে।সামনে আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক(ভারপ্রাপ্ত)মঞ্জুরুল হুদা বলেন,এ বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হওয়ায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।তিনি আরো জানান,এ বছর ধান উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নিধারন করা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার মেট্রিক টন।
দেশের প্রধান খাদ্য শষ্য কৃষকের কষ্টে ফলানো এই ধানের বাজার ভালো থাকলে,কৃষকের সেই লাভের আশা হবে পূরন,ধান চাষে আগামীতে বাড়বে আরো আগ্রহ।আর তাহলে কোনো অভাব থাকবে না কৃষক পরিবারে,শষ্য ভান্ডারে ভরে উঠবে এই বাংলাদেশ।এমনটাই প্রত্যাশা।