রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ব্রেকিং নিউজ » জ্বালানি তেল এর দাম কমানোয় সরকার সাধুবাদ পেতেই পারে
জ্বালানি তেল এর দাম কমানোয় সরকার সাধুবাদ পেতেই পারে
শাফিকুল ইসলাম কাজল ঃসরকার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন ডিজেল, পেট্রোল্,অকটেন এর দাম কমিয়ে আনার। শিগগিরই আরেক দফা কমানো হচ্ছে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম। বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, আগের বারের চেয়ে এবার অধিক হারে দাম কমানো হবে।গত ২৫ এপ্রিল সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমায় সরকার। এর মধ্যে অকটেন ও পেট্রল প্রতি লিটারে ১০ টাকা এবং ডিজেল ও কেরোসিন প্রতি লিটারে তিন টাকা করে কমায়। এর ফলে লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম ৬৫ টাকা, কেরোসিনের দাম ৬৫ টাকা, অকটেনের দাম ৮৯ টাকা ও পেট্রলের দাম ৮৬ টাকা করে বিক্রি হয়। এরও আগে গত ৩১ মার্চ ফার্নেস তেলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।অর্থমন্ত্রী বলেছেন আরেকটু বেশি কমালে ইট ইজ গুড ফর ইকোনমি। ডিসেম্বরের ২ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’এটি অর্থনীতির জন্য অনেক সহায়ক হবে।তেলের দাম কমালে সাধারণ মানুষের লাভ হয় না-কথা বলছিলাম একজন চাকরিজীবী সাধারন মহিলার সাথে-যিনি প্রতিদিন লেগুনাতে বাসাবো থেকে গুলিস্থান পরে গুলিস্থান থেকে চাঙ্খারপুল টেম্পুতে যাতায়াত করেন ।ডালিম নামে একজন যিনি প্রতিদিন মিরপুর ১ নংথেকে আসেন মতিঝিল অফিস পাড়ায় ।তাদের কথাআমদেরদেশে যেকোনোজিনিসেরদাম বাড়ারখবর পেলেই আগেই বেড়ে যাইঅথচ এপ্রিল মাসেজ্বালানি তেলের দাম কমানোর পর আজ নভেম্বর মাস বাসের ভাড়া একটি টাকা কমেনি উলটা বেড়েছে । বাজারে মাছ মাংস থেকে প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ বেড়েই চলেছে কেন।
আসলেই তাই জ্বালানি তেলের দাম সরকার আন্তরিক ভাবেই কমিয়েছে আগে। অতিতে কখন জ্বালানি তেলের দাম একবার বাড়ার পর কখনও কমানো হয়নি।আওয়ামি লীগ সরকার প্রথম যখন দাম কমালও সাধারন মানুষ আশা করেছিল এর প্রভাব সাধারন মানুষের জীবন যাত্রায় প্রভাব ফেলবে ।সেটা ফেলেনি । সরকারের এই মহৎ উদ্যোগে কে সাধুবাদ জানাতে চাই।একি সাথে যোগাযোগ মন্ত্রনালয় নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় এর উদ্যোগে সব পরিবহন এর ভাড়া কমিয়ে আনার জন্য এবার কঠোর ভুমিকা গ্রহন করতে হবে । কেননা পরিবহন খাত কে যদি নিয়ন্ত্রন না করা হয় তাহলে দেশের সাধারন মানুষ লাভবান হবে না । আমরা চাই না কোন অজ্ঞাত অসাধু ব্যবসায়ীর কারনে আম জনতার জীবন যাত্রার স্বস্তি লুট হয়ে যাক সরকারের এই মহতি কাজটির জন্য সরকার সাধুবাদ পেতেই পারেন ।