মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়নে সবই করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
সোমবার নভেম্বর ২১, ২০১৬, ০৪:৩৭ পিএম.
পক্ষকাল সংবাদ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমানের উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন, তার সবই করার আশ্বাস দিয়েছেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সোমবার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী। ঢাকা সেনানিবাসের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে এই অনুষ্ঠানে খেতাবপ্রাপ্ত ৭০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, “আজ বাংলাদেশকে যে গড়ে তুলতে পারছি, বাঙালি জাতি হিসেবে বিশ্বে যে সন্মান আমরা পাচ্ছি; এখানে আপনাদের বিরাট অবদান রয়েছে। আপনাদের মহান আত্মত্যাগের মাধ্যমে আজ দেশ স্বাধীন হয়েছে। “কাজেই আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের কল্যাণার্থে যা যা করনীয় আমি তা করে যাব।”
আজ সশস্ত্র বাহিনীর ২০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে পরিচয়পত্র দেয়া হয়; যা ব্যবহার করে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগ করতে পারবেন তারা। শেখ হাসিনা বলেন, “আমি জানি আপনজন হারানোর বেদনা কত কষ্টের। সেই বেদনা বুকে নিয়েও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা আপনজন হারিয়েছেন বা পঙ্গু হয়ে আছেন বা যারা অবদান রেখেছেন, তাদেরকে সবসময় সন্মানিত হিসেবে গণ্য করি এবং তাদের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া কর্তব্য হিসেবে মনে করি।”
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করে। প্রতি বছর দিনটি ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ।
শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভূতপূর্ব অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের ব্যাপারে আমাদের সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকেই বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্যও সব রকম চেষ্টা চলছে। বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ২০১৫-২০১৬ সালের ভূমিকার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর পাঁচজনকে ‘শান্তিকালীন সেনা’, ‘বাহিনী পদক’ ও ‘অসামান্য সেবা পদক’ দেন।