সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি | সম্পাদক বলছি » পা ধরে মাফ পেলেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা!
পা ধরে মাফ পেলেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা!
পক্ষকাল ডেস্কঃ
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদকে লাঞ্ছিত করার একদিন পর পা ধরে মাফ চেয়ে আপাতত পার পেয়েছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
রোববার (২০ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন নেতাকর্মী নগরীর লালখান বাজারে মোছলেম উদ্দিনের বাসায় গিয়ে পা ধরে ক্ষমা চান।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি আওয়ামী লীগনেতা মোছলেম উদ্দিনের পা ধরে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় মোছলেম উদ্দিনের বাসায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন বলে তিনি জানান।
নুরুল আজিম রনি জানান, গত শনিবার চট্টগ্রামের লালদীঘির ময়দানে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্স শেষের দিকে ওমরগণি এম ই এস কলেজের ছাত্রলীগ নেত ইলিয়াছকে ধাক্কা দেয়ার জেরেই লাঞ্ছিত হন মোছলেম উদ্দিন আহমেদ।
এর প্রতিবাদে ওইদিন রাত ৮টায় শ্রমিক লীগের ব্যানারে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের শাস্তির দাবিতে নগরীর কালুরঘাট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বোয়ালখালি উপজেলার লোকজন। মোছলেম উদ্দিনের বাড়ি নগরীর পাশ্ববর্তী বোয়ালখালী উপজেলায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মোছলেম উদ্দিনকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। ফলে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না নেতাকর্মীদের। এরপরই নেতাকর্মীরা ইলিয়াছের নেতৃত্বে বাসায় গিয়ে মোছলেম উদ্দিন সাহেবের পা ধরে ক্ষমা চান।
গত শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে নগরী লালদীঘি ময়দানে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্স শেষে টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় নিজ দলীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্চিত হন চট্টগ্রামের প্রবীণ রাজনীতিবিদ মোছলেম উদ্দিন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা ধাক্কাধাক্কি করে তার গায়ে পড়েন এবং তার দিকে মারমুখী ভঙ্গিতে তেড়ে যান। এমনকি অশ্লীল স্লোগানও দেন। পরে অন্যান্য নেতারা তাকে দ্রুত গাড়িতে তোলে দিলে তিনি স্থান ত্যাগ করেন।
ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াছ এ প্রসঙ্গে বলেন, ভিডিও কনফারেন্সের ঘটনায় আমার কোনো দোষ ছিল না। তিনিই আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। ওই সময় নিজেই লাঞ্ছনায় ভুগেছি। নিজেকে সংবরণ করতে না পেরে প্রতিবাদ করেছি। কিন্ত মোছলেম উদ্দিন সাহেব সেটা ভাল দৃষ্টিতে নেননি।
ইলিয়াছ বলেন, মোছলেম উদ্দিন সাহেব আমাদের রাজনৈতিক গুরু। দলের সিনিয়র ও প্রবীণ নেতা এবং মুরুব্বী। তাই দোষ করি বা না করি ওনার পা ধরে ক্ষমা চেয়েছি। এতে নিজেকে ভারমুক্ত করেছি। ক্ষমা চেয়েও নিজেকে বড় আসনে তুলতে পেরেছি বলে মনে করছি।
এ ব্যাপারে জানার জন্য মুঠোফানে যোগাযোগ করা হলেও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ কোন মন্তব্য রাজি করতে হননি। বিষয়টি নিয়ে আর কোনো কথা না বলার জন্য বলেন তিনি।