দুই কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে বাংলাদেশে পাচারের ছক, বাংলাদেশি যুবক গ্রেফতার
পক্ষকাল ওয়েভঃ
মুর্শিদাবাদের দুই কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল এক যুবক। শেষমেশ মালদহে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে শ্রীঘরে ঠাঁই হল ওই বাংলাদেশি যুবকের।মালদহ, ১০ ডিসেম্বর : মুর্শিদাবাদের দুই কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল এক যুবক। শেষমেশ মালদহে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে শ্রীঘরে ঠাঁই হল ওই বাংলাদেশি যুবকের। উদ্ধার হওয়া দুই তরুণীকে পাঠানো হয়েছে মালদহ চাইল্ড লাইনে।
পুলিশ জানিয়েছে উদ্ধার হওয়া দুই কিশোরীর একজন নবম শ্রেণির ছাত্রী, অপর জন অষ্টম শ্রেণির। তাদের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের অস্তিয়া গ্রামে। স্কুলে যাওয়ার নাম করে তারা ওই যুবকের সঙ্গে মালদহে চলে আসে। ইংরেজবাজার থানার পুলিশ রাতে ওই যুবকের সঙ্গে দুই কিশোরীকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে। দীর্ঘক্ষণ পর্যবেক্ষণ রাখার পর তিনজনে আটক করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
দুই কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে বাংলাদেশে পাচারের ছক
জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে পড়ে বাংলাদেশি যুবকের মতলব। শনিবার ধৃত সাকিব শেখকে মালদহ জেলা আদালতে তোলা হয়। তার বাড়ি বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার নাজিরপুর গ্রামে। তার জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মালদহে কাকার বাড়িতে নিয়ে যাবে বলে দুই কিশোরীকে মুর্শিদাবাদ থেকে মালদহে নিয়ে এসেছিল যুবক। তারপর জানানো হয়েছিল তার কাকার বাড়ি গ্রামে। তাই আরও একটা বাসে উঠতে হবে। তখনই পুলিশ তাদের আটক করে। পুলিশ জানতে পারে দক্ষিণ দিনাজপুরে হিলি সীমান্ত দিয়ে দুই কিশোরীকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল সাকিব। এর পিছনে বড়সড় নারীপাচার চক্রের হাত রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। মালদহের কোথায় ওই যুবকের কাকার বাড়ি জানাতে পারেনি সাকিব।
মুর্শিদাবাদে এক আত্মীয়ের বাড়ি এসেছিল সাকিব। সেখানেই ওই দুই কিশোরীর সঙ্গে তার পরিচয়। তারপর ভাব জমিয়ে তাদের মালদহে নিয়ে আসে কাকার বাড়ি নিয়ে যাবে বলে। স্কুলে যাবে বলে বেরিয়ে তারা সাকিবের সঙ্গে চলেও আসে। দুই কিশোরী পুলিশকে জানায়, কাকার বাড়িতে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে তাদের গ্রামে ফিরে আসার কথা ছিল।