শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » তথ্য-প্রযুক্তি » আম্মা ক্যান্টিন’ থেকে ‘ফ্রি ল্যাপটপ’, তামিলনাড়ুতে যে জনপ্রিয় প্রকল্প চালু করেছেন জয়ললিতা
আম্মা ক্যান্টিন’ থেকে ‘ফ্রি ল্যাপটপ’, তামিলনাড়ুতে যে জনপ্রিয় প্রকল্প চালু করেছেন জয়ললিতা
‘জয়ললিতা বেঁচে থাকবেন গরিব আমজনতার জন্য করা তাঁর অবদানের জন্য। আম্মার চালু করা যে প্রকল্পগুলি তাঁকে অবিস্মরণীয় করে তুলেছে সেদিকে নজর ফেরানো যাক একবার। বর্তমান সময়ে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় নেত্রী তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে দীর্ঘ রোগভোগের পরে সোমবার গভীর রাতে প্রয়াত হয়েছেন। প্রায় আড়াই মাস তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মাঝে কখনও সুস্থ হয়েছেন তো কখনও তাঁর অসুস্থতার খবরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। জে জয়ললিতার জীবনী একনজরে জয়ললিতা সম্পর্কে এই তথ্যগুলি সিংহভাগ মানুষ জানেন না তবে শেষপর্যন্ত মৃত্যুকে এযাত্রায় হারাতে পারলেন না তিনি। কর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীদের কাঁদিয়ে বিদায় নিলেন সকলের প্রিয় আম্মা। তবে প্রয়াত হলেও সকলের মনে বেঁচে থাকবেন জয়া। বেঁচে থাকবেন গরিব আমজনতার জন্য করা তাঁর অবদানের জন্য। আম্মার চালু করা যে প্রকল্পগুলি তাঁকে অবিস্মরণীয় করে তুলেছে সেদিকে নজর ফেরানো যাক একবার। মহিলা পুলিশ স্টেশন মহিলা পুলিশ স্টেশন প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতায় এসেই ১৯৯২ সালে তামিলনাড়ুতে মহিলা পুলিশ স্টেশন তৈরি করেন জয়ললিতা। এই মুহূর্তে সারা রাজ্যে মোট ২০০টি মহিলা পুলিশ স্টেশন রয়েছে। সারা দেশের এমন ধরনের পুলিশ স্টেশনের মোট ৪০ শতাংশই তামিলনাড়ুতে রয়েছে। শিশুদের প্রকল্প শিশুদের প্রকল্প ১৯৯২ সালেই শিশুদের জন্য নানা প্রকল্প চালু করেন জয়ললিতা। ছেলে-মেয়ের লিঙ্গের সমতা বজায় রাখতে ও কন্যা ভ্রূণ হত্যা কমাতে প্রকল্প চালু করেন তিনি। ২০১১ সালের হিসাব বলছে, এই প্রকল্পের সুফল মিলেছে বেশ ভালোই। জলপ্রকল্প জলপ্রকল্প চেন্নাইয়ে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ নেন জয়ললিতা। ২০০৪ সালে নয়া প্রকল্প চালু হয়। তবে এর আগে এই প্রকল্প চালু করেন সিএন আন্নাদুরাই ও পরে এম করুণানিধি। এই প্রকল্পটিই নতুন রূপে চালু করেন জয়ললিতা, নাম দেন ‘নতুন বীরনম প্রকল্প’। বৃষ্টির জল প্রকল্প বৃষ্টির জল প্রকল্প বৃষ্টির জল সংরক্ষণ প্রকল্প বাধ্যতামূলক করেন জয়ললিতা। ২০০১ সালে এই প্রকল্প চালু হয়। পরে দেখা গিয়েছে যে চেন্নাইয়ে এর ফলে ভূপৃষ্ঠে জলের মাত্রা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ফ্রি ল্যাপটপ প্রকল্প ফ্রি ল্যাপটপ প্রকল্প ২০১১ সালে সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ফ্রি ল্যাপটপ প্রদান প্রকল্প চালু করেন আম্মা। এর ফলে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার জন করে ছাত্রছাত্রী উপকৃত হয়েছে। আম্মা ক্যান্টিন আম্মা ক্যান্টিন ২০১৩ সালে আম্মা ক্যান্টিন প্রকল্প চালু করেন জয়ললিতা। অত্যন্ত কম দামে খাবার খাওয়ানোই ছিল মূল উদ্দেশ্য। এখানে ১ টাকায় ইডলি, ৫ টাকার পোঙ্গল ও কার্ড রাইস পাওয়া যায় ৩ টাকায়। বেবি কেয়ার কিট প্রকল্প বেবি কেয়ার কিট প্রকল্প সন্তানের জন্ম দেওয়া মায়েদের জন্য ও সদ্যজাত শিশুদের জন্য এই প্রকল্প চালু করেন জয়ললিতা। এই প্রকল্পের অধীনে একটি বেবি কিট তুলে দেওয়া হয় মায়ের হাতে। তাতে থাকে টাওয়েল, জামাকাপড়, শিশুর বিছানা, মশারি, ন্যাপকিন, তেল, বেবি সোপ, শ্যাম্পু, লিক্যুইড হ্যান্ডওয়াশ, নেলকাটার, খেলনা ইত্যাদি।