রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » বঙ্গভবনের আগে কার্যালয়ে যাবেন খালেদা জিয়া
বঙ্গভবনের আগে কার্যালয়ে যাবেন খালেদা জিয়া
পক্ষকাল ডেস্ক: নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ করতে বঙ্গভবনে যাওয়ার পথে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাত্রাবিরতি করবেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সেখান থেকে সংলাপের জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গভবনে যাবেন তিনি।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে শেষ হচ্ছে কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। নতুন যে নির্বাচন কমিশন হবে তার অধীনেই হবে ২০১৯ সালে একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
নতুন কমিশন গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ নিতে রোববার (১৮ ডিসেম্বর) থেকে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ওই দিন বিএনপির সঙ্গে ইসি গঠন নিয়ে সংলাপ করবেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপের সময় নির্ধারণ হয়েছে। সংলাপে অংশ নিতে বিএনপি নেত্রী বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলশানে তার বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে রওনা দিয়ে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসবেন। সেখানে যাত্রাবিরতি শেষে প্রতিনিধিদলের অপর সদস্যদের নিয়ে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সঙ্গে থাকবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহবুবুর রহমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তবে শনিবার স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস ও রফিকুল ইসলাম মিয়ার নাম প্রতিনিধিদলে যুক্ত করতে বঙ্গভবনে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘জনগণের প্রত্যাশা একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, যা সরকারের আবরণীয় বা তাদের সোনার খাঁচার মধ্যে পোষা একটা পাখি হবে না। এটা সত্যিকার অর্থেই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হবে, যে প্রতিষ্ঠান সরকারের রক্তচক্ষু অথবা তাদের অশুভ ইচ্ছাকে ডিফাই করে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করবে।’
বিএনপি এবং অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অনুযায়ী ইসি গঠন হবে, এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘সব দলের আস্থা ছাড়া বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী বা প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী যদি শুধু শাসক দলের অনুগত লোকদের খোঁজেন, তাহলে তো এটা আস্থাশীল কোনো ঘটনা হবে না।’
বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করার পর রাষ্ট্রপতি পর্যায়ক্রমে ২০ ডিসেম্বর সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, ২১ ডিসেম্বর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগ এবং ২২ ডিসেম্বর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।