গণতন্ত্রী পার্টির ৮ প্রস্তাব
পক্ষকাল সংবাদ : নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে ৮টি প্রস্তাব দিয়েছে ১৪ দলীয় জোটের শরিক গণতন্ত্রী পার্টি সভাপতি ব্যারিস্টার আরশ আলী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।তিনি বলেন, আইন প্রণয়নের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছি। যদি সময় কভার করা না যায় সেক্ষেত্রে সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা যেতে পারে। আমরা একজন নারী কমিশনার করার প্রস্তাব দিয়েছি।
প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১. নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তাই এর প্রতি তদরূপ মান্যতা ও মর্যাদা থাকতে হবে, যাতে করে নির্বাচন পরিচালনা ও এর তত্ত্বাবধানে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণমুক্ত স্বাধীন পরিবেশে কাজ করতে পারবে।
২. সংবিধানের ১১৮ বিধি বাস্তবায়নাস্থে আইনের বিধানবলি অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি আইন তৈরি করা। রাষ্ট্রপতি জরুরি ভিত্তিতে সংসদ অধিবেশন ডেকে বা অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে আইনপ্রণয়ন করতে পারেন। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ দিন থেকে এক মাস সময় লাগতে পারে।
৩. এ আইন অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কশিনার নিয়োগের জন্য নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে একটি সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠন করতে পারেন।
৪. বিকল্প হিসেবে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতি একটি সাবকমিটি গঠন করবেন। এ কমিটিতে প্রধান বিচারপতি, দুদক চেয়ারম্যান, মহাহিসাবরক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের নিয়ে একটি উপ-কমিটি গঠন হতে পারে। এ কমিটি কমিশনারের প্রতিজনের বিপরীতে তিনজনের নাম প্রস্তাব করবে। সার্চ কমিটি দেয়ার নামের তালিকা সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটি যাচাই-বাছাই করবেন। যেখান থেকে সংক্ষিপ্ত তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে, তিনি এ তালিকা থেকে নিয়োগ দেবেন।
৫. নির্বাচন কমিশন হবে ৫ সদস্য বিশিষ্ট, যার মধ্যে নারী সদস্য থাকবেন।
৬. যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত বা দণ্ডিত হয়েছেন বা কোনো সাম্প্রদায়িক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন এমন ব্যক্তিবর্গ যে কোনো পর্যায়ে নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ প্রস্তাবিত আইনে নিষিদ্ধ করতে হবে।
৭. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে অন্তর্ভূক্ত করা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।
৮. নির্বাচনে টাকার খেলা, মহাসন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা এবং প্রশাসনের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ হস্তক্ষেপ আইনে নিষিদ্ধ থাকতে হবে।
প্রতিনিধি দলে রয়েছেন দলটির সভাপতি ব্যারিস্টার আরশ আলী, সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার, মাহমুদুর রহমান বাবু, ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, নুরুর রহমান সেলিম, জহুরুল ইসলাম, জেড এ ওয়াহেদ, বাবুল দে, বেগম কানন আরা, শরাফত আলী হীরা, আরশাদ হারুন, কাজী রইসুল হক মাসুক, মাহতাব উদ্দিন।