বৃহস্পতিবার, ১ জানুয়ারী ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » কুমিল্লায় বাস ও সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২ ঘাতক বাসে আগুন
কুমিল্লায় বাস ও সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২ ঘাতক বাসে আগুন
কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখী সংঘর্ষে দুই জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছে। এ ঘটনার পর ঘাতক বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করে বিুব্ধ জনতা।
বৃহস্পতিবার দুপুর পৌঁনে ১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পরিহলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ঘোড়ামাড়া এলাকার আব্দুল করিম এর ছেলে সিএনজি অটোরিক্সা চালক রনি (৩২), একই জেলার বুড়িচং উপজেলার কাকিয়ারচর গ্রামের জয়নাল আবেদীন এর ছেলে ইব্রাহীম খলিল (৪০)।
আহতরা হলেন- জেলার বুড়িচং উপজেলার মাধবপুর গ্রামের অহিদুল ইসলাম এর স্ত্রী নিলুফা আক্তার (২৭), তার মেয়ে আঁখি আক্তার (১৩), আমির হোসেন এর মেয়ে সুরভী (১৩) ও অজ্ঞাত আরও একজন পুরুষ রয়েছে। এদের মধ্যে আঁখি আক্তার ও সুরভী এবারের জেএসসি পরীায় পাশ করেছে।
প্রত্যদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, জামায়াতের ডাকা হরতালের দ্বিতীয় দিনে ব্যস্ততম মহাসড়কে যান চলাচল ছিল খুবই কম। হরতাল উপো করে যেসব গাড়িগুলো চলছে সেগুলোর গতি ছিল বেপরোয়া। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌঁনে ১টায় ঢাকাগামী যাত্রীবাহী এশিয়া পরিবহনের একটি বাস ও বিপরীত দিক থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুই জন নিহত হয়। চারজন আহতদের উদ্ধার করে কাবিলা এলাকার কুমিল্লা ইষ্টার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পরপর উত্তেজিত বিুদ্ধ জনতা ঘাতক এশিয়া পরিবাহনের বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করে। জনতার দেয়া আগুন মুহুর্তেই পুরো বাসটিতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় এক ঘন্টা পর কুমিল্লা ফাঁয়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ততনে বাসটি আগুনে পড়ে যায়।
খবর পেয়ে বুড়িচং উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আ.ন.ম নাজিম উদ্দিন, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ.এস.পি) জাহাঙ্গীর আলম, শাহজাহান মিয়া, আশরাফ হোসেন, হাইওয়ে পুলিশ ময়নামতি ক্রসিং ফাঁড়ির ইন-চার্জ (ওসি) সোহেল আহমেদ ঘটনাস্থলে আসেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
হাইওয়ে পুলিশ ময়নামতি ক্রসিং ফাঁড়ির ইন-চার্জ (ওসি) সোহেল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হরতালের কারণে যানবাহনের চাপ না থাকায় যানজট সৃষ্টি হয়নি। অপরদিকে মহাসড়কের পাশের নির্মানাধীন ফোর লাইন প্রকল্পের নতুন সড়কটির কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হওয়ায় ওই সড়ককে যানবাহন চালাচল করছে। গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।