রবিবার, ১৯ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর: জ্বালানি সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে
প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর: জ্বালানি সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে
পক্ষকাল ডেস্ক : যশোর ও খুলনা অঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা মেটানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাইপলাইন দিয়ে রূপান্তরিত গ্যাস আমদানির জন্য বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আলোচনা চলছে। ইতোমধ্যে জ্বালানি খাতে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের জন্য গবেষণার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়েও একমত হয়েছে উভয় দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরকালে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতায় পৃথক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে। শনিবার বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিতীয় জ্বালানি সংলাপ বৈঠকে এ বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
রাজধানীর একটি হোটেলে এ বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজিমউদ্দীন চৌধুরী বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন। ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়ক সচিব কে ডি ত্রিপাঠি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘কুতুবদিয়ায় রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল নির্মাণের জন্য পেট্রোবাংলার সঙ্গে ভারতের পেট্রোনেটের মধ্যে গত ডিসেম্বরে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময়ে এটি বাস্তবায়নের জন্য আরেকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য দুই পক্ষ এ বৈঠকে আলোচনা করে।’
যশোর ও খুলনা পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইনের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ইন্ডিয়ান অয়েল কোম্পানি লিমিটেড উড়িষ্যার ধামড়া বন্দরের নির্মাণাধীন গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে সীমান্ত পেরিয়ে যশোরে গ্যাস বিতরণ লাইনে সংযুক্ত হবে। পরবর্তী সময়ে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্যাস পাইপলাইন খুলনা পর্যন্ত বর্ধিত হবে।’
ইরান থেকে ভারতে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস আমদানির বিষয়টি উত্থাপন করে বাংলাদেশ এ প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ইরানের সঙ্গে এ আলোচনা সফল হওয়ার পরে তারা বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করবে।
বাংলাদেশ প্রতি মাসে এক ওয়াগন হাইস্পিড ডিজেল ভারতের নুমালিগড় থেকে আমদানি করে। শনিবারের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জুলাই থেকে ডিসেম্বরে দুই ওয়াগন তেল আমদানি করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়নের জন্য সময় চেয়েছে ভারত।
মিয়ানমার থেকে যৌথভাবে গ্যাস আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশ আগ্রহ দেখালে ভারত ভিন্নমত পোষণ করে। মিয়ানমারে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্যাস নেই উল্লেখ করে যৌথভাবে গ্যাস কেনা লাভজনক হবে না বলে ভারত জানায়।