মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ | ব্রেকিং নিউজ » তালিকাভুক্ত অপরাধীদের ভিসা দেবে না যুক্তরাজ্য
তালিকাভুক্ত অপরাধীদের ভিসা দেবে না যুক্তরাজ্য
পক্ষকাল ডেস্ক : বাংলাদেশসহ অ-ইউরোপীয় দেশগুলোর তালিকাভুক্ত অপরাধীদের ওয়াকিং ভিসা দেবে না যুক্তরাজ্য। এ জন্য দেশটি নতুন এক বিধি আরোপ করতে যাচ্ছে। এই বিধি অনুসারে, ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদনকারীদের ফরমের সঙ্গে নিজ দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অপরাধে জড়িত না থাকার সনদ জমা দিতে হবে। আগামী মাস থেকে এ বিধি কার্যকর শুরু হবে।
প্রস্তাবিত এ বিধিমালা অনুসারে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বহির্ভূত দেশগুলো থেকে শিক্ষক, সেবিকা ও সমাজকর্মী হিসেবে যুক্তরাজ্যে বসবাস ও কাজের ভিসার (টায়ার টু ভিসা) আবেদনকারীদের এখন থেকে ফরমের সঙ্গে নিজ দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে না থাকার সনদযুক্ত করতে হবে।
এই বিধিটি এখনও যুক্তরাজ্যের সংসদের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। বিধিটি অনুমোদিত হলে ভিসা আবেদনে বর্তমানে অপরাধমূলক তথ্যের স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তির যে বিধান রয়েছে তা বাতিল হয়ে যাবে। শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ প্রাপ্ত বয়স্কদের নিয়ে কাজ করবেন এমন অভিবাসীদের জন্য এই বিধিটি বিশেষভাবে কার্যকর হবে।
যুক্তরাজ্যের অভিবাসনমন্ত্রী রবার্ট গুডউইল বলেন, ‘সমাজের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের নিয়ে বিদেশি অপরাধীদের কাজ করার কোনও সুযোগই থাকা উচিত নয়। অপরাধীদের ভিসা না দেওয়ার অধিকার আমাদের আগে থেকেই আছে। অপরাধের তথ্য যাচাই শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ প্রাপ্ত বয়স্কদের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত আরেকটি স্তর তৈরি করবে।’
যুক্তরাজ্য সরকারের পরিকল্পনা অনুসারে, এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া এই বিধি অনুসারে টায়ার টু বিভাগে নির্দিষ্ট পেশার জন্য আবেদনকারীদের অপরাধবিষয়ক তথ্য যাচাই করা হবে। আবেদনকারীদের দেশের সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গত ১ থেকে ১০ বছরে অপরাধে জড়িত না থাকার সনদ সংগ্রহ করতে হবে এবং তা ফরমের সঙ্গে জমা দিতে হবে। কোনও আবেদনকারীর সহযোগী থাকলে তাকেও এই সনদ দিতে হবে।
বিধিতে বলা হয়েছে, যদি কোনও দেশে ‘যৌক্তিক কারণে’ এ ধরনের সনদ দেওয়ার প্রক্রিয়া না থাকে তাহলে বিধিটি শিথিল করা হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের প্রচলিত ভিসা আইনে, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি ৪ বা তার বেশি মেয়াদের কারাদণ্ডের রায় থাকে তাহলে যুক্তরাজ্য সরকার ওই ব্যক্তিকে ভিসা না দেওয়ার অধিকার রাখে। এর চেয়ে কম মেয়াদে কারাদণ্ডের রায় থাকা ব্যক্তিদের সাজাভোগের পর থেকে সর্বোচ্চ দশ বছরের জন্য যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিধানও রয়েছে আইনে।
বিধিটি প্রস্তাব করেছে যুক্তরাজ্যের মাইগ্রেশন অ্যাডভাইসরি কমিটি। দেশটির ভিসা প্রক্রিয়ায় যেসব সুপারিশ দিয়েছে কমিটি সেগুলোর মধ্যে এই প্রস্তাবটি ছিল।