মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | রাজনীতি » প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিস্তা চুক্তির খসড়া
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিস্তা চুক্তির খসড়া
পক্ষকাল সংবাদ : আগামী মাসে ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে তিস্তার পানিবন্টন নিয়ে চুক্তি না হলেও এর খসড়া তৈরি হতে পারে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এমন ইঙ্গিত পাওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম।
এ সফরে শেখ হাসিনার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক আয়োজনেরও চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি। এছাড়া তার এ সফরকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলো।
ভারতের কয়েকটি প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম বলছে, শেখ হাসিনার সফরের এজেন্ডায় না থাকলেও দুই দেশের শীর্ষপর্যায়ের আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে তিস্তা প্রসঙ্গ। ঢাকা-নয়াদিল্লির সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিস্তা চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এমনটাও বলছে ভারতের গণমাধ্যম।
শেখ হাসিনার সফরের সময় দু-দেশের মধ্যে তিস্তা চুক্তি সই না হলেও এর খসড়া তৈরি হতে পারে। আর মূল চুক্তিটি হতে পারে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের আগে।শেখ হাসিনার ভারত সফর সামনে রেখে তিস্তা চুক্তি নিয়ে মোদির দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আউটলুক ইন্ডিয়া। এতে বলা হয়েছে, দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি চায় ঢাকা। এ প্রতিবেদনেও শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময়ে চুক্তির খসড়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে তিস্তা চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহ তুলে ধরা হয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলামের উদ্ধৃতি দিয়ে এতে বলা হয়, এজেন্ডায় না থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর সফরে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে আশা ছাড়েনি বাংলাদেশ।
এদিকে একই কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। আট এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিস্তা প্রসঙ্গ উঠবে।
নতুন দিল্লি সফরের সময়ে ভারতের রাষ্ট্রপতিভবন ‘রাইসিনা হিল’ এ থাকবেন শেখ হাসিনা। দেশটির রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির বিশেষ আমন্ত্রণেই তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকবেন। এই সফরের কোনো একপর্যায়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা। মমতার আপত্তির কারণেই আটকে আছে তিস্তা চুক্তি।