বুধবার, ২২ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » » পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান
পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান
পক্ষকাল সংবাদ: রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পানির দূষণরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় দেশবাসী এগিয়ে আসবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য প্রাকৃতিক জলাধার সংস্কার, নতুন জলাধার ও ব্যারাজ নির্মাণের মাধ্যমে পানির পরিমিত ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার কার্যক্রম চলছে। পানি দূষণরোধেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পানি দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে শুষ্ক মৌসুমে পানির অনিশ্চয়তার কারণে খাদ্য উৎপাদন, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টি, বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে জনদুর্ভোগ এবং সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ সমস্যা সমাধানে পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নদীগুলোতে ড্রেজিং এবং খাল পুনঃখনন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
‘পানিই জীবন, পানিই সম্পদ। কৃষি, শিল্প, উৎপাদনসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পানির গুরুত্ব অপরিসীম। বলতে গেলে পানি ছাড়া জীবন অচল। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তা অর্জনে পর্যাপ্ত ব্যবহারযোগ্য পানি প্রাপ্তির নিশ্চয়তা বিধানের বিকল্প নেই এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, শস্য উৎপাদন বহুলাংশে সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভর করে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পগুলোর আওতাভুক্ত এলাকায় বছরে ৯৭ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপন্ন হচ্ছে, যা মোট বার্ষিক উৎপাদনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।
‘বিশ্ব পানি দিবস ২০১৭’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, পানি ও কৃষি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তাই পানি নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার ওপর খাদ্যনিরাপত্তা বহুলাংশে নির্ভরশীল। পানির অপচয়রোধ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আলোকে জাতিসংঘ কর্তৃক এ বছর বিশ্ব পানি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ওয়াস্ট ওয়াটার’ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।