ফ্যাসিস্ট আমেরিকা মানবো না
পক্ষকাল ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিরীয় যুদ্ধ শুরুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে। বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ও সিরিয়ার মানুষের সংহতি জানান। যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিয়েছেন, ‘ফ্যাসিস্ট আমেরিকাকে আমরা মানবো না।’নিউ ইয়র্ক নগরী থেকে অন্তত দুই বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ফ্লোরিডার জ্যাকসনভ্যালি থেকে আটক হয়েছে চার জন। রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৫০টি নগরীতে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, ফ্লোরিডা, ফিলাডেলফিয়া ও ওয়াশিংটনসহ অন্তত ১২টি নগরীতে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পের বিতর্কিত নির্দেশের বিরুদ্ধে ও সিরিয়ার মানুষের প্রতি সংহতি ঘোষণা করে স্লোগান দিয়েছেন। নিউইয়র্কের বিক্ষোভকারীদের হাতে যে সব প্ল্যাকার্ড ছিল তাতে লেখা ছিল, ‘বোমা ফেলে সিরিয়ার মানুষকে রক্ষা করা যায় না বরং এতে প্রাণহানি ঘটে’, ‘মানবিকতার বিচারে বলছি ফ্যাসিস্ট আমেরিকাকে আমরা মানবো না।’
ট্রাম্পের সামরিকতার নীতিকে সমালোচনা করে বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘সিরিয়ায় বোমা ফেলে সংঘাত কমবে না বরং আরও বাড়বে।’
বিক্ষোভকারীদের অনেকেই সিরীয় জনগণের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এদিকে, লন্ডনেও ব্রিটিশ যুদ্ধ বিরোধী গোষ্ঠী স্টপ দ্যা ওয়ার কোয়ালিশন ট্রাম্পের সিরীয় যুদ্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে। ওয়েস্টমিনিস্টার সড়কে এ বিক্ষোভ করা হয়। ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে এ গোষ্ঠী কঠোর ভাষায় সিরিয়ায় ট্রাম্পের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নিন্দা করেছে।
উল্লেখ্য, সিরিয়ার সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র হামলা চালিয়েছে- এমন অভিযোগে শুক্রবার একটি সিরীয় বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ওই দিন ভোরে দুই মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস পোর্টার এবং ইউএসএস রস থেকে আসাদ সরকার নিয়ন্ত্রিত ওই বিমানঘাঁটিতে ৫৯টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। সিরীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
মার্কিন হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিন-এর মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলা একটি সার্বভৌম দেশের ওপর আগ্রাসন। এটা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। যুক্তরাষ্ট্র সিরীয় সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছে বলে শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে মস্কো। রুশ প্রতিক্রিয়ার জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসন বলেন, মস্কোর অবস্থানে ‘যুক্তরাষ্ট্র হতাশ, তবে বিস্মিত নয়’। হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করেছে যুক্তরাজ্য। সূত্র: রয়টার্স, এএফপি, আরটি।