রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » সংসদে নারী এমপি ৭১, আইন প্রণয়নে মাত্র চার
সংসদে নারী এমপি ৭১, আইন প্রণয়নে মাত্র চার
পক্ষকাল প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদে ৭১ জন নারী সংসদ সদস্য থাকলেও আইন প্রণয়ণে অংশগ্রহণ করেছেন মাত্র ৪ জন। রবিবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কার্যালয়ে ‘পার্লামেন্টওয়াচ- দশম জাতীয় সংসদ : সপ্তম থেকে ত্রয়োদশ অধিবেশন’র ‘জেন্ডার বিশ্লেষণ: সংসদীয় কার্যক্রমে নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক অধ্যায়ে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
শুধুমাত্র আইন প্রণয়ন নয় প্রশ্নোত্তর পর্বেও নারীদের অংশগ্রহণ তুলনামূলক কম বলেও জানিয়েছে টিআইবি। প্রতিবেদনে বলা হয়, দশম জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়ন আলোচনায় মাত্র ৪ জন নারী সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। যা মোট নারী সদস্যের ৭ শতাংশ। যেখানে ছিলেন একজন নির্বাচিত ও তিনজন সংরক্ষিত আসনের সদস্য। বাকি সদস্যদের কেউ আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেননি। তুলনামূলকভাবে আইন প্রণয়নে পুরুষদের অংশগ্রহণ ছিল শতকরা ১২ ভাগ।
সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে ৭ জন নারী সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। তারা প্রশ্ন উত্থাপন করেন ১৮টি। অংশ নেওয়া সদস্যদের মধ্যে ৪ জন নির্বাচিত ও ৩ জন সংরক্ষিত আসনের। তবে দশম সংসদে মোট সময়ের তিন-চতুর্থাংশে মধ্যে নারী সদস্যদের উপস্থিতি ছিল শতকরা ৬১ ভাগ। যেখানে পুরুষদের উপস্থিতি শতকরা ৩৪ ভাগ। এছাড়া সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে স্থান পান ৬৮ জন নারী সংসদ সদস্য। তবে স্পিকার, সংসদ নেতা ও বিরোধী দলের নেতাদের এর মধ্যে ধরা হয়নি।
প্রতিবেদনে সংসদ পরিচালনায় স্পিকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। এতে বলা হয়েছে- সংসদ সদস্যদের অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার অব্যাহত, একজন সরকার দলীয় এবং একজন বিরোধী দলীয় সদস্যের বক্তব্যের অসংসদীয় শব্দ এক্সপাঞ্জ, কোনও কোনও ক্ষেত্রে সতর্কবাণী প্রদান ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্পিকারকে নীরব থাকতে দেখা গেছে। বিধি অনুযায়ী অধিবেশন চলাকালে গ্যালারীতে শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে স্পিকারের কার্যকর ভূমিকার ঘাটতিও লক্ষণীয়।
‘পার্লামেন্টওয়াচ- দশম জাতীয় সংসদ : সপ্তম থেকে ত্রয়োদশ অধিবেশন’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালসহ টিআইবি’র অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।