সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » খালেদা জিয়াকে তথ্যমন্ত্রীর খোলা চ্যালেঞ্জ
খালেদা জিয়াকে তথ্যমন্ত্রীর খোলা চ্যালেঞ্জ
পক্ষকাল সংবাদ ঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চলমান ভারত সফর ও ভারতের সাথে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চিরাচরিত ঢালাও বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে তিনি চুক্তির বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবগত নন, এমনকি চুক্তির শিরোনামগুলোও পড়ে দেখেননি। কোন চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থ বিঘিœত হলো বা কোন চুক্তিতে দেশ বিক্রি হলো, তাও স্পষ্টীকরণ করতে পারেননি। তার বক্তব্যের জবাবে আমাদের বক্তব্য আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার জন্যই আপনাদের এখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের আমন্ত্রণে আপনারা এখানে উপস্থিত হওয়ায় আপনাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,
২০১৫ সালের জুন মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় পর্যন্ত ভারতের সাথে বাংলাদেশের ৮৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক ছিল। গত ৮ এপ্রিল ২০১৭ দিল্লীতে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে আরো অনেকগুলো চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। পত্র পত্রিকা ও গণমাধ্যমে ইতিমধ্যেই চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলি সম্পর্কে আপনারা ও দেশবাসী জেনেছেন।
বহুল আলোচিত প্রতিরক্ষা খাতের ৩টি চুক্তির বিষয়ে আমি বলতে চাই, চীনের সাথে বাংলাদেশ-চীন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি-২০০২ সহ রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালীসহ বিভিন্ন দেশের সাথে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ে ১০টি চুক্তি রয়েছে। বাংলাদেশ তার শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগ সামরিক সরঞ্জাম কেনে চীন থেকে। ভারত থেকে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় আমাদের ক্রয়কে আরো বহুমুখী ও প্রতিযোগিতামূলক করা এবং নির্দিষ্ট কোনো নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসার একটি পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর মান বৃদ্ধি পাবে, যুগোপযোগী চাহিদা পুরণ সহজ হবে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা মিশনে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্র আরো বিস্তৃত হবে।
ভারতের সাথে আগে থেকেই সামরিক ক্ষেত্রে যৌথ মহড়া, যৌথ অনুশীলন, উচ্চ পর্যায়ে সফর, প্রতিরক্ষা কলেজগুলোর মধ্যে সহযোগিতা, দুই বছর অন্তর প্রতিরক্ষা সংলাপসহ বিভিন্ন সহযোগিতা রয়েছে। চুক্তিগুলোর মাধ্যমে সহযোগিতার বিদ্যমান ক্ষেত্রগুলোকেই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগত রূপ দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক একটি কাঠামোগত রূপমাত্র, নূতন বিষয় নয়। ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তিগুলো বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে কোনো হুমকিতেই ফেলবে না, বিপদেও ফেলবে না। বরং এর মাধ্যমে আমাদের সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উন্নততর প্রশিক্ষণের সুযোগের সৃষ্টি হবে।
যারা বলছেন এ সফরে বাংলাদেশ কিছুই পায়নি, তাদের উদ্দেশ্যে বলবো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফরে সাইবার নিরাপত্তা, পারমাণবিক বিদ্যুৎ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, স্যাটেলাইট ও মহাকাশ গবেষণার মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র ও ঋণ সহায়তার বিষয়ে চুক্তির মাধ্যমে দু’দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রে আরো একধাপ অগ্রগতি হলো, উন্নয়নের নূতন দিগন্ত সূচিত হলো।
প্রিয় সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বন্ধুগণ,
চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাদের চিরাচরিত রাজনৈতিক কায়দা ও ভাষায় চুক্তির বিরোধিতা করে বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করে শেখ হাসিনা রক্ষা পাবে না। শেখ হাসিনা দেশের কিছুই রাখেনি। বাকি যা আছে তাও বিক্রি করে আসবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সব কিছু বিক্রি করে দিয়েছে। দেশবিরোধী চুক্তি করে অতীতে কেউ রক্ষা পায়নি। শেখ হাসিনাও রক্ষা পাবে না।’
প্রিয় সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বন্ধুগণ,
আমি আপনাদের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত কোন চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকটি দেশের স্বার্থ বিরোধী ? কোনটিতে দেশ বিক্রি হয়েছে ? কোনটিতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুণœ হয়েছে ? কোনটিতে বাংলাদেশ তার ভূমির উপর এক সেন্টিমিটার সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে ?
প্রিয় সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী বন্ধুগণ,
আপনারা জানেন, পাকিস্তান আমল থেকেই ইসলামের নাম ব্যবহার করে ভারতীয় জুজুর ভয় দেখিয়ে ভারত বিরোধিতার নেতিবাচক রাজনীতি চলছে। পাকিস্তান আমলের সেই বস্তাপচা রাজনীতি বেগম খালেদা জিয়া এখনও বহন করে চলছেন। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি স্বাক্ষর হবার আগে-পরে বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হলে, ফেনী পর্যন্ত ভারতের দখলে চলে যাবে’। চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক দিনের মধ্যেই বেগম জিয়া কয়েকশ’ গাড়ির বহর নিয়ে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত লং মার্চ করে নিজেই প্রমাণ করেছিলেন তার দেয়া বক্তব্য মিথ্যা। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগেও বিএনপি-জামাত বলেছিল, ‘আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় গেলে দেশের মসজিদগুলিতে আজানের বদলে উলুধ্বনি শোনা যাবে’। ‘ভারত দেশ দখল করে নিলো’, ‘ইসলাম গেলো’ ইত্যাদি পাকিস্তানি বস্তাপচা রাজনীতির দুর্গন্ধ ছড়িয়ে রাজনীতির অঙ্গণ সাময়িকভাবে বিষাক্ত করা গেলেও সাধারণ মানুষ এসব মিথ্যাচার আর বিভ্রান্ত হয় না, বিশ্বাস করে না।
প্রিয় সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী বন্ধুগণ,
ইংরেজিতে একটি কথা আছে, ‘One can change his wife or her husband, but one cannot change his or her neighbour’, অর্থাৎ একজন পুরুষ তার স্ত্রী বদল করতে পারে, একজন নারী তার স্বামী বদল করতে পারে, কিন্তু একজন পুরুষ বা নারী তার প্রতিবেশী বদল করতে পারে না। বাংলাদেশ ও ভারত ভৌগলিক অনিবার্যতায় বাস্তবতা পরিবর্তনের কোন সুযোগ বাংলাদেশ বা ভারতের কারোই নেই। এ বাস্তবতা মেনেই বাংলাদেশ ও ভারতকে চলতে হবে। প্রতিবেশীর সাথে ঝগড়া বাধিয়ে রেখে প্রতিবেশীর কেউই শান্তিতে থাকতে পারে না। সুতরাং প্রতিবেশীর মধ্যে কোন সমস্যা থাকলে তা প্রতিবেশীদের স্বার্থেই সমাধান করতে হবে। সমস্যা জিইয়ে রেখে, ঝুলিয়ে রেখে প্রতিবেশীর সাথে ‘শত্রু-শত্রু খেলা’য় কারোই লাভ হবে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় তৃতীয় পক্ষের হয়ে, পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে ভারতের সাথে ‘শত্রু-শত্রু খেলা’র পাকিস্তানি রাজনীতির ভূতের আছর থেকে বেগম জিয়া, বিএনপি, জামাত এমনকি পন্ডিত-বুদ্ধিজীবী হিসাবে খ্যাতি অর্জনকারী অনেকেই এখনও বের হতে পারেননি। বরং ভারতের সাথে ‘শত্রু-শত্রু খেলা’, ‘ভারতীয় জুজুর ভয়’ দেখানো, ‘ইসলাম গেলো’ ‘ইসলাম গেলো’ বলে রাজনীতিই তাদের প্রধান রাজনৈতিক কৌশল হিসাবেই রয়ে গেছে।
প্রিয় সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী বন্ধুগণ,
প্রতিবেশীর সাথে অনেক সমস্যাই থাকতে পারে। একটি বা দুইটি বা কয়েকটি সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে, বাকি সমস্যার সমাধান করবো না, এটা কোনো যুক্তির কথা হতে পারে না। যে সমস্যাগুলির সমাধান সম্ভব তা সমাধানের মাধ্যমে বাকি সমস্যাগুলি সমাধানের পথে হাঁটতে হবে। তাহলে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস তৈরি হবে।
হ্যা, তিস্তার পানি সমস্যার সমাধানে এবার কোনো চুক্তি বা সমঝোতা হয়নি। তিস্তার পানি নিয়ে এখনও জটিলতা রয়েছে। তাই বলে কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিস্তার পানির দাবি ছেড়ে দিয়েছেন? না, বরং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিস্তার পানি দাবি আরও জোরালোভাবেই তুলে ধরেন এবং একই সাথে তিনি ভারত-বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানির প্রবাহ নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থানও জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ দৃঢ় অবস্থান এবং আবেদন ভারতীয় রাজনৈতিক মহল, জনগণ ও গণমাধ্যমের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। ভারত সরকারকে চাপের মধ্যে ফেলেছে। ১৯৯২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গা পানি নিয়ে কোনো কথাই বলেননি। দেশে ফিরে আসার পর বিমান বন্দরে সাংবাদিকগণ তিনি কেন কোনো কথা বলেননি তা জানতে চাইলে, বেগম জিয়া বলেছিলেন, ‘তিনি বিষয়টি ভুলে গিয়েছিলেন’। আর মৃত্যুর মূখে দাঁড়িয়েও শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থের কথা ভুলে যান না।
প্রিয় সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী বন্ধুগণ,
সামরিক ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক, লাইন অব ক্রেডিট, ভারত থেকে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে কেউ কেউ কথা বলার চেষ্টা করছেন। তাদের উদ্দেশ্য বলতে চাই, ভারতকে শত্রু বিবেচনা করা আর ভারতকে প্রতিবেশী বিবেচনা করা, এই দুই দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য আছে। সব বিষয়ে ভারতের সাথে সমঝোতা-সহযোগিতা করা যাবে, কিন্তু সামরিক বা প্রতিরক্ষা বিষয়ে সমঝোতা বা সহযোগিতা করা যাবেনা, এ দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যেই সেই পাকিস্তানী বস্তাপচা ‘শত্রু-শত্রু খেলা’ দৃষ্টিভঙ্গি লুকিয়ে আছে। চীন, আমেরিকা, রাশিয়া, ইতালী থেকে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করা যাবে কিন্তু ভারত থেকে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করা যাবে না। এটাও ঐ রাজনীতির, দৃষ্টিভঙ্গি। সব দেশ থেকে ঋণ নেয়া যাবে, কিন্তু ভারত থেকে ঋণ নেয়া যাবে না, এটাও সেই একই রাজনীতির দৃষ্টিভঙ্গি।
বাংলাদেশ আত্মমর্যাদা নিয়েই ভারতসহ অন্য দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার সম্পর্ক রক্ষা করছে। ভারত বা কোনো দেশের সাথেই বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক সর্ম্পকে একচুল পরিমাণ ছাড় দেয়নি, দিচ্ছে না, দেবেও না।
কোনো চুক্তিই গোপন নয়। সংবিধানের ১৪৫(ক) ধারা অনুযায়ী সরকার চুক্তি করে। চুক্তির পরে সংসদের ভিতরে বাইরে আলোচনা হতে পারে। এ ছাড়া চুক্তিগুলো গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হতে থাকে।
দীর্ঘ জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম, স্বাধীনতা সংগ্রাম, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ, ৩০ লক্ষ মানুষের শহীদী আত্মবলিদান, ২ লক্ষ নারীর ওপর নির্যাতন, কোটি কোটি মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কাচের গ্লাস নয়, যে টোকা লাগলেই ভেঙ্গে যাবে বা ত্রিপল ঢাকা ট্রাকের মধ্য দিয়ে পাচার হয়ে যাবে। ১৬ কোটি মানুষ অতন্দ্র প্রহরীর মতো স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের পাহারাদার। মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ কেউই বিক্রি করতে পারবে না, দখলও করতে পারবে না।
যারা দীর্ঘজাতীয়তাবাদী সংগ্রাম, স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি, এসবের চেতনাকে ধারণ করে না, তারাই কথায় কথায় স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব দেশের স্বার্থ চলে গেলো বলে, হীন রাজনীতি করে।
বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের পক্ষে নন, পাকিস্তানের পক্ষে। তিনি যেমন মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, যুদ্ধাপরাধ ও জঙ্গি-সন্ত্রাস নিয়ে ঢালাও মিথ্যাচার করে আসছেন, তারই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের চোখ দিয়ে দেখে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কে শত্রুতা জিইয়ে রাখতে চান। খালেদা জিয়া প্রতিবেশীকে শত্রুর কাতারে ফেলে উত্তেজনার বলয়ে ফায়দা লুটতে চান, আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিবেশীকে বন্ধু ভেবে সমস্যা সমাধানে ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে চলেন। বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার সাথে রয়েছে। সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ।