শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি | সম্পাদক বলছি » নির্বাচনে লড়বেন টিউলিপ রুশনারা ও রূপা
নির্বাচনে লড়বেন টিউলিপ রুশনারা ও রূপা
পক্ষকাল ডেস্ক : আগামী ৮ জুন অনুষ্ঠিতব্য ব্রিটেনের নির্বাচনে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিন ব্রিটিশ এমপি। তারা হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, রুশনারা আলী ও রূপা হক। ২০১৫ সালের নির্বাচনে লেবার পার্টি থেকে নির্বাচন করে তিনজনই জয়ী হয়েছিলেন।এর আগে, গত মঙ্গলবার আচমকা আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। পার্লামেন্টে তেরেসা মের মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রস্তাব পাস হওয়ার পর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। আগামী ৮ জুন এ নির্বাচন করতে চান তিনি। হাতে আছে আর মাত্র ৫০ দিন।
প্রধানমন্ত্রীর আকস্মিক নির্বাচন ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। থেরেসা মে জানান, ব্রেক্সিটের মাধ্যমে তিনি ব্রিটিশ নাগরিকদের নিরাপদে রাখতে চেয়েছিলেন।
লন্ডনে জন্ম নেয়া টিউলিপ ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির মনোনয়ন নিয়ে হ্যাম্পসটেড ও কিলবার্ন আসনে এক হাজার ১৩৮ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে টিউলিপ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হ্যাম্পসটেড ও কিলবার্ন এলাকার সবার জন্য কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে চাই।’
চলতি বছরের শুরুতে পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসা) বিলের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন টিউলিপ। এ কারণে তিনি লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগও করেন।
অপরদিকে গত নির্বাচনে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর স্বল্প ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন লন্ডনের ইয়ালিং সেন্ট্রাল ও অ্যাকটনের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রূপা হক।
বেথানাল গ্রিন ও বো থেকে নির্বাচিত হওয়া রুশনারা আলী এবারও নির্বাচন করছেন। গত নির্বাচনে লেবার এমপি হিসেবে তিনি জিতেছিলেন ২৪ হাজার ৩১৭ ভোটে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৩ জুন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এই ভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় দেন নাগরিকরা। ব্রেক্সিট ইস্যুতে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করেন। পরে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন থেরেসা মে।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগাম এ নির্বাচনে যদি তার দল কনজার্ভেটিভ পার্টি জয়ী হয় তাহলে ব্রেক্সিটে দলীয় এজেন্ডাকে প্রাধান্য দিতে পারবেন তিনি। কিন্তু যদি নির্বাচনে হেরে যান তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য ২৭ রাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা অত্যন্ত জটিল হয়ে দাঁড়াবে।
দেশটিতে এই মুহূর্তে বিরোধী দল লেবার পার্টির চেয়ে জনপ্রিয়তায় ২০ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে কনজার্ভেটিভ পার্টি। ২০২০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতার মেয়াদ রয়েছে মে নেতৃত্বাধীন সংসদের।