মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » সরকারবিরোধী আন্দোলন তৈরি করতে মাঠে বিএনপির ৫১ নেতা
সরকারবিরোধী আন্দোলন তৈরি করতে মাঠে বিএনপির ৫১ নেতা
পক্ষকাল সংবাদ : কেন্দ্রীয় নেতাদের দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফরে দলটির ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা গিয়ে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আন্দোলন ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করবেন। আশা করছি দলে ঐক্য তৈরি হবে।মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল এসব কথা বলেন।
দলের সাংগঠনিক শক্তি জোরদার ও সরকারবিরোধী আন্দোলনের ক্ষেত্র তৈরি করতে মাঠে নেমেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ৫১ নেতা। গত শনিবার থেকে দেশব্যাপী ৭৫টি সাংগঠনিক জেলায় সফর শুরু হয়েছে। দুই একজন ইতোমধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় চলে গেলেও অনেকেই এখনো যাননি। তবে সংশ্লিষ্ট এলাকার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সফরে যাওয়ার দিন তারিখ ঠিক করছেন বেশিরভাগ নেতা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সফরে যাওয়ার আগে তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন বিএনপি মহাসচিব। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত কথা বলেন মির্জা ফখরুল।বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সারাদেশে আমাদের সিনিয়র নেতাদের রাজনৈতিক সাংগঠনিক সফরের জন্য ৫১টি টিম গঠন করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন জেলায় যাবেন।মহাসচিব জানান, গত ২২ এপ্রিল থেকে সাংগঠনিক সফর শুরু হয়েছে। আগামী ৭ মে পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
কুমিল্লা ও বান্দরবন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট জেলার নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। দুই একদিনের মধ্যে আশা করি যেতে পারবো। যেসব সাংগঠনিক অবস্থার পাশাপাশি যেসব বিষয় খোঁজখবর নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেসব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে কেন্দ্রে প্রতিবেদন দেয়া হবে।
জয়পুরহাট জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জয়নাল আবদীন ফারুক বলেন, ‘আজকে জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ডেকেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলে যাওয়ার দিন-তারিখ ঠিক করবো।ফারুক জানান, ৭ মে সফর শেষ করে আমাদের ৮ তারিখের মধ্যে পুরো রিপোর্ট দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। আশা করি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দায়িত্ব শেষ করতে পারবো।আর ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, ‘সব দলেই কিছু না কিছু ভুল বোঝাবুঝি থাকে। আমাদের দলেও আছে। তাই বেশি অগ্রাধিকার থাকবে দলের ঐক্য তৈরি। পাশাপাশি সমকালীন বিভিন্ন ইস্যু ও আগামী দিনের আন্দোলন কর্মসূচি, দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে নেতাকর্মীদের প্রস্তাব, বক্তব্য নিয়ে আমরা প্রতিবেদন তৈরি করবো। দলের চেয়ারপারসনের কাছে সবার প্রতিবেদন জমা হলে হয়তো আবারো বৈঠক করে প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।’