শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » সরকার ক্ষমতা হারালে নেতাকর্মীদের দেশ ছেড়ে পালাতে হবে -সেতু মন্ত্রী
সরকার ক্ষমতা হারালে নেতাকর্মীদের দেশ ছেড়ে পালাতে হবে -সেতু মন্ত্রী
পক্ষকাল সংবাদ ঃ
দলের নেতাকর্মীদের প্রতি হুঁসিয়ারী করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,”সরকার ক্ষমতা হারালে নেতাকর্মীদের দেশ ছেড়ে পালাতে হবে” তাই সময় থাকতে অবৈধভাবে উপার্জন করা অর্থ দেশের জন্য উন্নয়নের জন্য ব্যয় করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি ।
তিনি বলেন বৈধ অবৈধবাবে উপার্জন অর্থ দিয়ে কি করবেন? যদি দল ক্ষমতায় না থাকে। দলকে ক্ষমতায় রাখতে এবং আগামী নির্বাচনে যাতে আওয়ামী লীগ আবারও জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসে সে জন্য সকল অর্থ দেশের জন্য জনগণের উন্নয়নের জন্য ব্যায় করুন।
তিনি আজ শনিবার দুপুরে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন কিং অব চিটাগাং কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের টাকা লুটকরে উন্নয়ন বন্ধ করে মানুষের মন জয় করা যায় না। সরকার যদি দেশের মানুষকে ভালোবেসে একের পর এক উন্নয়ন করে যায় তাহলেই জনগণ সেই সরকারকে বারবার ক্ষমতায় বসার সুযোগ দেয় দেশ শাসনের জন্য। সুতরাং দেশের উন্নয়নের ক্ষাতে ব্যবহৃত কিছু লুট করে বড় লোক হওয়ার লালসা করবেন না । কারন সেই অর্থ ভোগ করতে হলে আপনাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে । আর এই লালসার ফলে আপনার সরকার ক্ষমতায় না থাকলে আপনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে।
বিএনপি এখন জাতীয় নালিশ পার্টি হিসেবে পরিনত হয়েছে উল্লেখ্য আওয়ামী লীগের এ শীর্ষ নেতা বলেন, তাদের কাজ হলো শুধু শুধু দেশের মানুষের কাছে নয় সারা বিশ্বের মোড়লদের দরবারে দরবারে গিয়ে নালিশ পেশ করা। আর এত কিছু করার পরও তারা প্রতিটি পদে পদে ব্যর্থ হচ্ছে। তার প্রমাণ হলো কিছু দিন আগে হয়ে যাওয়া আমেরিকার নির্বাচনকে ঘিরে তাদের ছিল নানা জল্পনা কল্পনা। তারা ভেবে ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হলে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে। কিন্তু তাদের স্বপ্ন সফল হলো না।
এর আগেও ভারতের নির্বাচনকে নিয়েও ছিল তাদের উৎসব মুখর মাতামাতি। কিন্তু তাদের দেওয়া সব নালিশ একে একে ভেস্তে যায়।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনাদের কাছে আকুল আবেদন পরের দেশে ভিক্ষা না চেয়ে নিজের দেশের জনগণের কাছে এসে ক্ষমা চেয়ে নির্বাচনে আসেন। আর জনগণ আপনাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে তাকালে ক্ষমতায়ও আসতে পারেন। সুতরাং সহিসংতা বন্ধ করে দেশ ও জনগণের কল্যাণ সাধনে আসছে জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতার সম্প্রতি বিরোধ নিয়ে ওবায়দুল কাদের মহানগর সভাপতি এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম আওয়ামীলীগের ঘাঁটি, আর এ ঘাঁটি রক্ষার সম্পূর্ন দায়িত্বই আপনার। নাছির কোন ভুল করলে সেটা বাহিরে জানাজানি হওয়ার আগেই নাছিরকে ঘরে ডেকে মিটিয়ে নেবেন। মনে রাখবেন, আপনাদের ঐক্যই প্রধানমন্ত্রীর সামনে নির্বাচনে জয়ের দৃঢ়তা বৃদ্ধি পাবে।
আমরা চাই চট্টগ্রামের সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ থাকুক, কারন আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমরা সারা বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ থাকি।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ,কে,এম এনামুল হক শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, এম এ লতিফ এমপি।