বেনাপোলে ঘুষের কোটি টাকায় এসআই নুরআলমের আলীশান বাড়ি
আমিনুর রহমান তুহিন,শার্শা বেনাপোল প্রতিনিধি:বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই নুর আলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আটক করে থানায় এনে রাত ১২ টার পর ছেড়ে দিয়ে কোটি কোটি টাকা ঘুষ আদায় করে থানার বড়আাঁচড়া টার্মিনাল পাড়ায় আলীশান বাড়ি করার অভিযোগ উঠেছে।
বেনাপোল বড়আঁচড়া গ্রামে এসআই নুর আলম ১২ কাটা জমি ক্রয় করে তার উপর বিশাল বাড়ি হাকিয়েছে । বাড়ির খরচের সাথে নুরআলমের চাকরির বেতনের কোন মিল না থাকায় জন মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সে বেনাপোল সহ তার নিজ এলাকা বরিশাল এবং নামে বেনামে বিভিন্ন একাউন্টে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে বলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে বেনাপোল পৌরসভা এলাকায়। ইতিমধ্যে অনেকে তার অর্থের উৎস তদন্ত করার জন্য দুদককে দেখার আহবান জানান। সাম্প্রতি ভারতীয় ৪ পাসপোর্ট যাত্রীকে আটক করে তাদের মাদক দিয়ে চালান দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা আদায় করলে বিষয়টি তারা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবগত করালে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় নুরআলমকে ক্লোজড করা হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নুর আলমের একাধিক অপকর্মের নিন্দার ঝড় বইছে।
এলাকার জনগন অভিযোগ করে বলেছেন নুরআলমের অত্যাচারে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায় না। সে এলকার নিরীহ লোক ধরে আটক করে রাত্রে বড় বড় অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। যার সাথে জড়িত পুলিশের বড় বড় কর্মকর্তা বলে সুত্র দাবি করে। সুত্র দাবি করে বলেন নুর আলম একই থানায় তিন বছরের অধিক একটানা চাকরি করে থানার বিভিন্ন অলিগলি দাপিয়ে বেড়ায় কাকে ধরে এনে থানায় আটক করে অর্থ বানিজ্য করা যায়।
নির্ভর যোগ্যসুত্র জানায় নুরআলম দারোগা এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আটক করে তাদের বলে তোদের ছেড়ে দিয়েছি টাকার বিনিময় কোন সাংবাদিকের কাছে বলবি না। সাংবাদিকদের তথ্য দিলে তোদের আবার ধরে ক্রস ফায়ারে দিব। এর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। গতকাল নুর আলমের ক্লোজড এর সংবাদে কাগজপুকুর, ভবারবেড় ও চেকপোষ্ট এলাকায় মিষ্টি বিতারন হয়েছে বলে সুত্র জানায়।
একাধিক কুকর্মের নায়ক নুরআলমের পতনের একধাপ এগিয়ে যাওয়ায় এলাকার নিরীহ মানুষ এর মাঝে স্বস্তির নিশ^াস ফিরে আসায় তারা আনন্দে মুখ খুলতে শুরু করেছে। জানা যায় গত তিন মাসে নুরআলম বেনাপোল চেকপোষ্ট এলকা থেকে মানুষকে ভয়ভিতী দেখিয়ে ২০ লাখ টাকা আদায় করেছে। এদের মধ্যে কয়েকজন নুরআলমের অর্থবানিজ্যের শিকার কামনা হেয়ার কাটিংয়ের বিনোদ এর নিকট থেকে ৩ দফায় নেওয়া হয় প্রায় দুইলাখ টাকা, তুফান ষ্টোর জিযার নিকট থেকে নেওয়া হয় ২৮ হাজার টাকা দ্বিপ ষ্টোর থেকে নেওয়ায় হয় ২২ হাজার টাকা কামাল নামে এক ব্যবসায়ির নিকট থেকে নেওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা। বেনাপোল বাজারের পলাশ হোটেলের মালিক জাহাঙ্গীর আলমকে ভয়ভীত দেখিয়ে ১ লাখ টাকা দাবি করলে পরে বেনাপোল পৌরমেয়র আশরাফুল আলম লিটনের হস্তক্ষেপে মাপ পায়। বাজারের সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারীরর মালিক নির্মল ঘোষের ছেলে উৎপাল ঘোষকে মিথ্যা অভিযোগে আটক করে ৫০ হাজার টাকা আদায় করে ফেনসিডিল দিয়ে চালান করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে।গত সপ্তাহে মামুন এন্টারপ্রাইজের মামুনের নিকট থেকে নারী শিশু পাচারকারী হিসাবে ভয় দেখিয়ে ৫৫ হাজার টাকা নেয়।
উল্লেখ্য গত কয়েক বছর নুরআলম একই থানায় চাকরি করে সেই থানার পাশে কোটি টাকা ব্যায়ে বাড়ি বানালে ও প্রশাসনের কোন উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নজরে না পড়ায় অবাক হয়েছে সচেতন মহল।