রবিবার, ৭ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » » তরুণরা খবরের কাগজ পড়ে না, টেলিভিশন দেখে : জয়
তরুণরা খবরের কাগজ পড়ে না, টেলিভিশন দেখে : জয়
পক্ষকাল সংবাদ
রোববার রাজধানীর ধানমণ্ডি আওয়ামী লীগের নতুন কার্যালয়ে ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সংসদ সদস্যদের করণীয়’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, তরুণরা খবরের কাগজ পড়ে না। টেলিভিশন ও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তারা বেশি খবর নেয়।
‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সংসদ সদস্যদের করণীয়’ শীর্ষক ওই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জয় বলেন, ‘আমাদের তরুণরা কিন্তু এখন আর খবরের কাগজ পড়েই না। খবরের কাগজে শুধু আমাদের ওই সুশীল বাবুদের মতামতই দেখা যায়। তরুণরা ওটা পাত্তা দেয় না। তরুণরা টেলিভিশনটাই বেশি দেখে।’
‘তবে সবচেয়ে বেশি খবর তারা পায় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। সে কারণে আমাদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের জন্য কাজ করছি। সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে যদি আমাদের প্রচার রাখতে পারি, তাহলে শুধু আজকের ভোটার না, তরুণ ভোটাররাও আওয়ামী লীগের ভোটার হয়ে থাকবে।’
‘দুর্নীতি করেছে বিএনপি, সন্ত্রাস করেছে জামায়াত। তারা দুই দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে গেছে। এত কাজ করেছি, মানুষের আয় দ্বিগুণ করেছি, স্কুলে ৩২ কোটি বই বিতরণ করেছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি, পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করে দিয়েছি। তারপরও ব্যর্থ হয়েছে, ব্যর্থ হয়েছে অপপ্রচার চলেছে’, মন্তব্য করেন জয়।
প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘শুধু কাজ করলে হবে না, মানুষকে জানিয়ে দিতে হবে আমরা কী করছি তোমাদের জন্য। আওয়ামী লীগ কী কী করছে, বিদ্যুৎকেন্দ্র নিজে নিজে বানায়, পদ্মা সেতু নিজে নিজে বানাচ্ছে। এটা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের সিদ্ধান্তে হচ্ছে। আমরা এটার টাকা জোগাড় করে দিয়েছি, আমরা পরিশ্রম করছি।’
জয় আরো বলেন, ‘আমাদের মধ্যে সিনিয়র যাঁরা আছেন, তাঁরা মানুষের সামনে কথা বলতে, নিজের ঢোল পেটাতে লজ্জা পান। এটা স্বাভাবিক। আমরা যাঁরা সৎ মানুষ, সৎ মানুষ কিন্তু সব সময় নিজের ঢোল পেটাতে লজ্জা পায়। যারা ফাঁকিবাজ, যারা টাউট, তারা নিজেদের ঢোল পেটাতে খুব পারে। কিছু না করেই তারা ঢোল পেটায়-এত কিছু করে ফেলেছি। যারা পরিশ্রম করতে পারে, যারা সৎ, তারা একটু লজ্জা পায়। তবে সেই লজ্জা পেলে কিন্তু হবে না। আমাদের জোর গলায় বলতে হবে। আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, সেটা মোকাবিলা করতে হবে। আমরা কী করছি, সেটা বারবার বলতে হবে।’
কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ। কর্মশালায় প্রায় ৫০ জন সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। আগামী দুদিনে আরো ১০০ জন সংসদ সদস্যের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।