বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » সাঈদীর মুক্তি চেয়ে জামায়াতের বিক্ষোভের ডাক
সাঈদীর মুক্তি চেয়ে জামায়াতের বিক্ষোভের ডাক
পক্ষকাল দেস্কঃ
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড- পাওয়া নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরা দল জামায়াতে ইসলামী। আগামী রবিবার এই যুদ্ধাপরাধী নেতার ফাঁসি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের এবং মুক্তি চেয়ে আসামির রিভিউ আবেদনের শুনানির আগের দিন এই বিক্ষোভ হবে।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির ডাক দেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান। এই বিক্ষোভে দেশবাসীর সহযোগিতাও চেয়েছে জামায়াত। দলের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে সরকার রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার হীন উদ্দ্যেশেই প্রায় সাত বছর যাবত কারাগারে বন্দী করে রেখেছে।’
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পিরোজপুরে ইব্রাহিম কুট্টি ও বিসাবলী হত্যার দুই অভিযোগে ২০১৩ সলের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীর ফাঁসির আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে মোট আটটি অভিযোগ প্রমাণ হয়। এগুলোতে শাস্তি চেয়ে এবং সব শাস্তি থেকে মুক্তি চেয়ে সাঈদীর আপিলের পর ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ সাঈদীর মৃত্যুণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়।
আপিল বিভাগের রায়ের পর জামায়াত নেতার ফাঁসি চেয়ে রিভিউ আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আর খালাস চেয়ে আবেদন করেন সাঈদী। গত ৬ এপ্রিল এই রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানির কথা ছিল। কিন্তু সেদিন শুনানি হয়নি। আর ১৪ মে শুনানির দিন ঠিক করে আপিল বিভাগ।
ট্রাইব্যুনাল এবং আপিল বিভাগে সব ধরনের আইনি লড়াই করে হেরে গেলেও জামায়াত বলছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্বশূন্য করার যে ষড়যন্ত্র বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে শুরু করেছে। তার অংশ হিসেবেই আল্লামা সাঈদীকে বন্দী করে রাখা হয়েছে।’
জামায়াত বলছে, ‘বিশাবালী নামক পিরোজপুরের জনৈক ব্যক্তিকে হত্যার যে অভিযোগে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে সে হত্যাকাণ্ডের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই।’
সর্বোচ্চ আদালতে দণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতার মুক্তি চেয়ে এই ধরনের বক্তব্য আদালত অবমাননা বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তুরিন আফরোজ। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘তারা এটা বলতেই পারে না। সরকার আটকে রেখেছে, এটা তারা কীভাবে বলে? একটি দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার বিচার হয়েছে। এই বিচারে নিজেকে আত্মপক্ষ সমর্থনে তারা নিজেরাও লড়েছে। তারপরও তারা এ কথা কীভাবে বলে?’।