বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ | অর্থনীতি | ব্রেকিং নিউজ » ধর্ষণের পর কেন স্বর্ণের দোকানে অভিযান?
ধর্ষণের পর কেন স্বর্ণের দোকানে অভিযান?
পক্ষকাল সংবাদ ঃবনানীর দ্য রেইন ট্রি হোটেলে দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপন জুয়েলার্সের শোরুমে অভিযান ও শোরুম সিলগালা করা হয়। ধর্ষণের পর কেন অভিযান চালাতে হবে? এটা রুটিন কাজ হওয়া উচিত। অবৈধ স্বর্ণ উদ্ধারে আপন জুয়েলার্সের মতো দেশের সব জুয়েলারি ও স্বর্ণের দোকানে নিয়মিত অভিযান চালানো উচিত।
বুধবার রাজধানীর আইডিইবি ভবনে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প আয়োজিত একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাক শুল্ক গোয়েন্দার প্রতি এ প্রশ্ন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ বিমানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করতে চাই। কিন্তু বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরালানের একটি রুট। এতো চোরাচালান হলে ব্র্যান্ডিং হবে কীভাবে?
শুল্ক গোয়েন্দাদের পরামর্শ দিয়ে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্বর্ণ চোরাচালান রোধে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে বসেন। দুই তরুণী ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর কেন আমরা সচেতন হলাম? স্বর্ণ চোরাচালান শুধু একটি প্রতিষ্ঠান করে নাকি? আরও বহু স্বর্ণের দোকান এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তারা কীভাবে স্বর্ণ আনছে, চোরাচালানের সঙ্গে কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করুন।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এভাবে কেন স্বর্ণ চোরাচালান হবে? স্বর্ণ চোরাচালান রোধে জনবল বাড়ানো উচিত। আপন জুয়েলার্সের মতো সব জুয়েলার্স ও স্বর্ণের দোকানে নিয়মিত অভিযান হওয়া উচিত। সেজন্য এনবিআরের শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপনারা যা করছেন তা ভেবে দেখা উচিত। আপনারা বলছেন, রেইন ট্রি হোটেলে মদ উদ্ধার, লাইসেন্স নেই- এ রকম অভিযোগ অনেক হোটেলের বিরুদ্ধে আছে। সম্পূর্ণ হয় তো বন্ধ করা যাবে না, কিন্তু মাত্রা তো কমানো যাবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন এনবিআর সদস্য ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. রেজাউল হাসান প্রমুখ।