সরকার চালাচ্ছে কে, প্রশ্ন ফখরুলের
পক্ষকাল সংবাদঃ
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেয়া বক্তব্যে বিএনপি অত্যন্ত চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যেহেতু তল্লাশি করে পুলিশ বলেছে প্রান্তি শূন্য তাই স্বাভাবিকভাবেই জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আসলে সরকার চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতারা নাকি গোয়েন্দারা?
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলছি- গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি রাষ্ট্রের জন্য বিপদজনক। তাহলে কোন গোয়েন্দা সংস্থা পুলিশকে বিভ্রান্ত করছে।
শনিবার (২৭ মে) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে পুলিশি তল্লাশির নিন্দা ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
পুলিশ প্রশাসনের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘একটি কথা মনে রাখবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেতন হয় জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। কাজেই যে সমস্ত উচ্চবিলাসী কর্মকর্তারা মনে করছেন এই সরকারই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। যারা বেআইনিভাবে আইনের বিরুদ্ধে কাজ করছেন তাদেরকে অবশ্যই জবাব দিতে হবে।’
সরকার দেশের সকল কিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বেআইনি ও অনৈতিক। অনৈতিকভাবে তাদের জন্ম। তাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করার অধিকার নেই। এরা (সরকার) অত্যন্ত সুপরিকল্পীতভাবে বাংলাদেশের সকল সম্ভাবনা বিনষ্ট করে দিচ্ছে। তাই এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে দেশের মানুষের ততবেশি ক্ষতি হবে। মানুষের আশা আকাঙ্খা চুরমার হবে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্টায় জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে বলেও মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করায় আওয়ামী লীগের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। অনেকইে এখন সন্দেহ পোষন করছেন তারা (আওয়ামী লীগ) সুস্থ আছে কী না।
আয়োজক সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসানের সঞ্চালনায় সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, যুবদলের ঢাকা মহানগর (উত্তর) সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর আলম, যুবদলের ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) সভাপতি রফিকুল ইসলাম মঞ্জু প্রমুখ।