সেন্টমার্টিনে বাড়িঘর বিধ্বস্ত
পক্ষকাল সংবাদ ঃ
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। ফলে উত্তাল রয়েছে সাগর। ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে বেশ কিছু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, উপড়ে পড়েছে গাছপালা।
এদিকে, ‘মোরা’র কারণে সকাল থেকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে ওঠানামা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন উইং কমান্ডার রিয়াজুল কবীর।
সেন্টমার্টিনের সাংবাদিক নূর মোহাম্মদ জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিনে আজ ভোরে প্রচণ্ড দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। এতে বেশ কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, পায়রা ও মোংলা বন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় রয়েছে।
তবে ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, খুলনা, বাগেরহাট ও সাত্ক্ষীরা ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে ভোর থেকে চট্টগ্রামে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে। বাতাসের গতিবেগ ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সকাল ৮টার দিকে কক্সবাজার হয়ে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে ‘মোরা’। এর আগে ভোরে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ‘মোরা’র প্রভাবে চট্টগ্রামে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
পতেঙ্গাসহ উপকূলীয় এলাকার ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র রাতে জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান পরিদর্শন করেছেন।