বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » যুব মহিলা লীগ নেত্রী সাবিনা আক্তার তুহিন, ইমরান কে প্রতিহত করার অনুমতি চাইলে প্রধানমন্ত্রীর না
যুব মহিলা লীগ নেত্রী সাবিনা আক্তার তুহিন, ইমরান কে প্রতিহত করার অনুমতি চাইলে প্রধানমন্ত্রীর না
পক্ষকাল সংবাদ ঃভাস্কর্য স্থানান্তরের প্রতিবাদ করতে গিয়ে সরকারপ্রধানের সমালোচনা করে চাপের মুখে থাকা গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক ইমরান এইচ সরকার ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজত তাণ্ডবের সময় কোথায় ছিল- সে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে ইমরান আজকে নেতা। সে এখন বড় বড় কথা বলে।
বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশন শেষ হওয়ার পর জাতীয় সংসদের কয়েকজন নারী এমপি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। যুব মহিলা লীগ নেত্রী সাবিনা আক্তার তুহিন, নুরজাহান বেগম মুক্তাসহ অন্তত ১৫ মহিলা এমপি এ সময় ছিলেন। তাদের সঙ্গে পরে যোগ দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। সাবিনা আক্তার তুহিন এ সময় শাহবাগসহ যে কোনো জায়গায় ইমরান এইচ সরকারকে প্রতিহত করার অনুমতি চাইলে প্রধানমন্ত্রী তাদের নিবৃত করেন।
উপস্থিত একাধিক মহিলা এমপি এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ওর বিরুদ্ধেও তো অনেক অভিযোগ ছিল। আওয়ামী লীগ তার পাশে না থাকলে তো সে কিছুই হতো না। তিনি বলেছেন, ‘ওরে তো আমি সেভ করেছি বিভিন্ন সময়।’ পাশ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনেছেন আওয়ামী লীগের এমন এক কেন্দ্রীয় নেতা ও এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান এইচ সরকারকে উদ্দেশ করে মহিলা এমপিদের বলেছেন, ‘ওরে প্রটেকশন দিয়ে আমি নেতা বানাইছি, এখন সে নাকি আমাকে গালি দেয়।’ বিষয়টি নিয়ে সবাইকে নিশ্চুপ থাকার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
ভাস্কর্য ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাস্কর্য কিন্তু অপসারণ করা হয়নি। এটি স্থানান্তর হয়েছে। এর আগে এটি জাতীয় ঈদগাহের সামনে ছিল। সেখানে মুসল্লিদের সমস্যা ও দৃষ্টিকটু বিধায় সরিয়ে অন্যত্র স্থাপন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অস্ট্রিয়া সফরে বিমানে সেফটি ট্যাগবিহীন খাবারের প্রসঙ্গটি সামনে আনলে বিষয়টি গুরুত্ব দেননি প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের ভয় পেলে চলবে না। অনেক কাজ সামনে। বিমানে পরপর কয়েকবার ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো সামনে এনে প্রধানমন্ত্রীকে আরো সতর্ক হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অনেক এমপি। পরে প্রধানমন্ত্রী তাদের উদ্দেশে বলেন, আল্লাহর ওপর ভরসা রাখ। কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না।
জনগণের জন্য কাজ করার নানা দিক তুলে ধরে অস্ট্রিয়া থেকে এসে দেশে আবার কাজে নেমে পড়ার বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকালে এসে নামাজ পড়ে আবার পার্লামেন্ট অধিবেশনে চলে এসেছি। যতদিন বেঁচে আছি আমি জনগণের জন্য কাজ করে যাব। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক নারী নেত্রী মানবকণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী হয়তো কোনো কাজা নামাজ আদায় করেছেন। আর এমনিতে রোজার মাস ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নফল নামাজ আদায় করেন। একই সময়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য সরানোর বিষয়ে দলের অবস্থান জানতে চান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কোনো পক্ষ নেই। আমরা জনগণের পক্ষে। হেফাজতের পক্ষেও না, গণজাগরণের পক্ষেও না।