উপকূলে ফের ঘূর্ণিঝড় আতংক
চঞ্চল দাশগুপ্ত, বাংলার চোখ কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার শহর ও অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় রবিবার সন্ধ্যা থেকে প্রচন্ড দমকা বাতাস ও ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে।সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় মোরার ক্ষত শুকিয়ে উঠতে না উঠতেই অতিরিক্ত গরমের মাঝে এই বৃষ্টি স্বস্তি আনলেও উপকূলের মানুষ আবারও ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে ভুগছেন।লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টির পাশাপাশি জেলার উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলের কোনো কোনো এলাকায় জোয়ারের পানি উঠার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া এ মৌসুমি নিম্নচাপের ফলে কক্সবাজার উপকূলে ফের সাইক্লোন আতংক দেখা দিয়েছে। এদিকে কুতুবদিয়া,মহেশখালী ও পেকুয়ার জেলে পল্লীতে এখনো চলছে স্বজন হারানো আর্তনাদ। ঘূর্ণিঝড় মোরার কবলে পড়ে এখনো অর্ধশতাধিক জেলে নিখোঁজ রয়েছে। এরই মধ্যে অনেক জেলে পুনরায় সাগরে মাছ ধরতে গেছে। সাগরে আবার মৌসূমী নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় কিছু ট্রলার ফিরে আসলেও যারা আসেনি তাদের পরিবার পরিজন রয়েছে চরম শঙ্কায়।
অপরদিকে কক্সবাজার আবাহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা এএক এম নাজমুল হক দুপুরে বাংলার চোখকে জানান,উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ঠ লঘুচাপেটি আরো ঘনীভূত হয়ে স্থানীয় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।এ কারণে ক্রমশ উত্তাল হয়ে উঠেছে সাগর।কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।এটি বর্তমানে কুমিল্লা এলাকায় অবস্থান করছে।এটি আস্তে আস্তে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।তিনি আরও বলেন,কক্সবাজার উপকূল্ েএ মৌসূমী নিম্নচাপের প্রভাবে রবিবার রাত থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হওয়া বয়ে গেছে। আর রবিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।কক্সবাজার আবাহাওয়া অফিস আরও জানায়,উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২-৪ ও রাতে ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।