মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি | সম্পাদক বলছি » নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে তা দাতাদের বিষয় নয়
নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে তা দাতাদের বিষয় নয়
পক্ষকাল সংবাদ : নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে তা দাতা সংস্থাগুলোর বিষয় নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইউএনডিপি’র ঢাকা অফিসের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর রবার্ট ডি ওয়ার্টকিনস। তিনি বলেছেন, ‘এটা একেবারেই সরকারের বিষয়। আমরা মনে করি, কমিশনের নির্দিষ্ট আইন আছে, এ দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন।’ মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের সাক্ষাতের পর প্রতিনিধি দলটির নেতা হিসেবে এ মন্তব্য করেছেন তিনি।
হেড অব ইউএনডিপির রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর রবার্ট ডি ওয়ার্টকিনসের নেতৃত্বে প্রায় ২০ জন প্রতিনিধি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন।
ওই বৈঠকের পর মঙ্গলবার দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের পক্ষে ইউএনডিপির রবার্ট ডি ওয়ার্টকিনস বক্তব্য রাখেন।
এসময় সিইসি কেএম নুরুল হুদা বলেন, সব দল অংশগ্রহণ করলে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে অতীতে অনেক ভালো নির্বাচনের ইতিহাস রয়েছে। সবার অংশগ্রহণ থাকলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়।
বৈঠক শেষে কেএম নুরুল হুদা বলেন, ‘আমাদের আইন-কানুন সংশোধন, সীমানা পুনর্বিন্যাস, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, কেন্দ্র পুনর্বিন্যাসের কাজগুলো সামনে রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সামর্থ্য আমাদের আছে কি না বৈঠকে তারা জানতে চেয়েছে। উত্তরে আমরা বলেছি-আমাদের হাতে অনেকগুলো আইন আছে। অতীতে অনেক ভালো নির্বাচনের ইতিহাস রয়েছে।’
কেএম নূরুল হুদা আরও বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য আমরা কারিগরি সহযোগিতা চাই। এছাড়াও নির্বাচনের আগে ভোটার, প্রার্থী ও ইসি; কার কী দায়িত্ব তা নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে।
সিইসি বলেন, ‘স্মার্টকার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে চোখের আইরিশ ও দশ আঙুলের ছাপ দেওয়ার মেশিন কিনতে আর্থিক সহায়তা চাই। তবে এগুলো ছাড়াই স্মার্টকার্ড দেওয়া সম্ভব। তাই আমরা প্রকল্পটা আরও বাড়াতে চাই। যদিও নির্বাচনের সঙ্গে স্মার্টকার্ডের সম্পর্ক নেই। তবু আমরা সংসদ নির্বাচনের আগে সবার হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দিতে চাই।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে এ বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছিলেন, আমরা বলেছি এ নিয়ে ইসির কিছু করার নেই। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত।’
এদিকে হেড অব ইউএনডিপির রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেট রবার্ট ডি ওয়ার্টকিনস বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমাদের ২১ বছরের সম্পর্ক। আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য সকল ধরনের কারিগরি সহায়তা করতে চাই।’
নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রবার্ট ডি ওয়ার্টকিনস বলেন, ‘এটা আমাদের বিষয় নয়। এটা সরকারের বিষয়। আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। আমরা মনে করি, কমিশনের নির্দিষ্ট আইন আছে, এ দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন।’
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন