বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি | সম্পাদক বলছি » ভিয়েতনাম থেকে চাল আসছে
ভিয়েতনাম থেকে চাল আসছে
ডেস্ক পক্ষকাল;
ঢাকা: ভিয়েতনাম থেকে চালের প্রথম চালান আগামী ১৫ দিনের মধ্যে চট্টগ্রামে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে ভিয়েতনামের নতুন রাষ্ট্রদূত ট্রান ভ্যান খাও।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ কথা জানান।
সরকারি গুদামের মজুদ কমে আসায় বাজার নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ভিয়েতনাম থেকে ৯০৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হবে।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি গত ১৪ জুন দরপত্র ছাড়াই সরকারি পর্যায়ে এই চাল আমদানির অনুমতি দেয়।
ভিয়েতনাম থেকে প্রতি মেট্রিক টন ৪৭০ মার্কিন ডলার দরে ৫০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল কিনতে খরচ হবে ১৯৫ কোটি ৫ লাখ টাকা।
এছাড়া ৪৩০ মার্কিন ডলার দরে দুই লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানিতে ৭১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা খরচ হবে।
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কোম্পানি ভিনাফুড টু এই চালের ৬০ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এবং বাকি ৪০ শতাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে সরবরাহ করবে।
সর্বশেষ ২০১১-১২ সালে ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ টন চাল আমদানি করেছিল সরকার। তবে ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করায় এরপর বেশ কয়েক বছর আর সরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি করতে হয়নি।
ভিয়েতনামের নতুন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর তার প্রেস সচিব ইছসানুল করিম সাংবাদিকদের বিভিন্ন তথ্য জানান।
ইহসানুল করিম বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে চাল আমদানির সমঝোতা স্মারক নিয়ে রাষ্ট্রদূত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং ভিয়েতনাম থেকে চালের প্রথম চালান ১৫ দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম পৌঁছানোর কথা বলেছেন।’
‘চাল আমদানীর বিষয়ে এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতিরিক্ত খাদ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে।’
যুদ্ধবিধ্বস্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনামের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথাও বৈঠকে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের মতো ভিয়েতনামেরও স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করতে হওয়ার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভিয়েতনাম বাংলাদেশের জন্য অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত।
এ সময় তিনি ১৯৭২ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও রাষ্ট্রদূতের সামনে তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের সাথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে যোগাযোগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা।
বাণিজ্য ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের কথাও বলেন শেখ হাসিনা।
দারিদ্রতাকে উযন্নয়নশীল দেশগুলোর সাধারণ সমস্যা হিসাবে উল্লেখ করে, তা থেকে উত্তোরণে সকলকে একসাথে কাজ করার তাগিদও জানান প্রধানমন্ত্রী।
জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ এবং জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টার প্রশংসা করে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত বলেন, এই দুই দেশের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে এবং একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সাত দশমিক ২৪ অর্জনের প্রশংসাও করে ভিয়েতনামের নতুন রাষ্ট্রদূত।
সাক্ষাতকালে মূখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।