সিটে ৬৫০, বাসের ভেতর মোড়ায় ভাড়া ৫০০ টাকা
পক্ষকাল সংবাদ ঃ
ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। ঢাকার বাস টার্মিনালগুলোতে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভীড়। গাবতলী ও কল্যাণপুরের বাস কাউন্টারগুলো ছিল লোকে পরিপূর্ণ। বাড়তি যাত্রীর চাপে বাসে কোনো সিট ফাঁকা নেই। ছাদেও জায়গা নেই। এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন বাস মালিকরা। বাসের আসনের ফাঁকে ফাঁকে মোড়া বসিয়ে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার সরেজমিনে গাবতলী ও কল্যাণপুরে এ দৃশ্য দেখা যায়। অনেক যাত্রী অগ্রিম টিকিট না কাটায় টার্মিনালে এসে গন্তব্যের টিকেট খুঁজছেন। স্বল্প আয়ের মানুষেরা কম খরচে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এই সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছেন এক শ্রেণির পরিবহন মালিক-শ্রমিক। তারা বাসের ভেতর অতিরিক্ত মোড়া বা টুল পেতে যাত্রী তুলছেন।
রাবেয়া, খালেক, পূর্বাশা, জে আর, রয়েল, রাজধানী, সেবা, একে ট্রাভেলসসহ অনেক পরিবহন ‘মোড়া সিট’ বিক্রি করছে। ঈদ ভাড়ার তুলনায় মোড়ায় খরচ এক থেকে দেড়শ টাকা কম। পূর্বাশা পরিবহনে ঝিনাইদহের সিটের ঈদ ভাড়া ৬শ ৫০ টাকা। আর মোড়ার জন্য নেওয়া হচ্ছে ৫শ টাকা। ইঞ্জিন কভারেও যাত্রী নেওয়া হচ্ছে।
গাবতলীর নাবিল পরিবহনের কর্মী আউয়াল জানান, বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়ে। শুক্রবার সকালেও সেই চাপ আরো বেড়েছে। দুপুরের পর একটু হালাকা হয়েছে। আগামীকাল (শনিবার) বেসরকারি অফিস-গার্মেন্টস বন্ধ হবে। তাই আজকের চেয়ে কাল আরো চাপ বাড়বে।
চাপ বাড়ায় ঢাকা-পাটুরিয়ায়র লোকাল বাসেও বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। সবুজ নামে একজন যাত্রীয় জানান, অন্য সময় এসব বাসের ভাড়া ৮০ থেকে ১০০ টাকা। ঈদের জন্য ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে।
ঢাকা-চাপাইনবাবগঞ্জ রুটের রজনীগন্ধা পরিবহনের ছাদে উঠেছেন নাঈমুল হোসেন। মতিঝিলের একটি বেসরকারি অফিসে পিয়নের কাজ করেন নাঈমুল। তিনি বলেন, বাসের ভেতরের সিট ভাড়া ৭০০ টাকা। তাই ছাদে ২০০ টাকায় যাচ্ছেন। পাশেই একই রুটের শ্রাবন্তী পরিবহনও ছাদে লোক তুলছিল।