বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » রাজনীতি | সম্পাদক বলছি » যুব মহিলালীগের ১৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সকলকে শুভেচ্ছাঃঅপু উকিল
যুব মহিলালীগের ১৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সকলকে শুভেচ্ছাঃঅপু উকিল
অধ্যাপিকা অপু উকিল
আজ ৬ জুলাই বাংলাদেশ যুব মহিলালীগের পনের তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ২০০২ সালের এই দিনে বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত,গঠনতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সংগঠটি প্রতিষ্ঠা করেন।
এই শুভ ক্ষণে সর্বপ্রথমে সংগঠনের পক্ষ থেকে রক্তিম শ্রদ্ধা জানাই সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাপাঁ মহান পুরুষ জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি। শ্রদ্ধা জানাই, অযুত শুভেচ্ছা জানাই, হাজারো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি পরম শ্রদ্ধা ভাজন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি।
হৃদয় নিংড়ানো শুভেচ্ছা জানাই সংগঠনের প্রাণশক্তি যুব মহিলালীগের সকল স্তরের আমার সুপ্রিয় নেতা কর্মী বোনদের। কৃতজ্ঞতা জানাই শুভেচ্ছা জানাই সংগঠনটি তৈরী হবার বাকেঁ বাকেঁ যাদের সহযোগীতা পেয়েছি।
২০০২ সাল, এদেশে তখন লাশের স্তুপ,এ মাটি কবরস্হান, দাও দাও করে জ্বলছে চিতা। লাশ ছিবড়েঁ খেয়েছে শিয়াল কুকুরের দল, বাংলার মাটি ভিজে গেছে রক্তের লালিমায়। এই লাশ ছিল জাতির জনকের আদর্শের সৈনিকের, নারী, শিশু সাধারণ জনতার। হ্যান্ডকাফ পড়া মানুষকেও পাখির মত হত্যা করেছে। একাত্তরের হানাদার পাকিদের মতই নির্বিচারে ব্রাশফায়ার করে গনহত্যা চালিয়েছে। ক্ষমতান্ধ, ক্ষমতালিপ্সু বিএনপি জামাত জোট রক্তের নেশায় ক্রসফায়ার হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। আওয়ামীলীগের জাতীয় কেন্দ্রীয় নেতাদের অগনতান্ত্রিক ভাবে জেলে পাঠিয়েছে। নৌকায় ভোট দেবার অপরাধে ঘর ছাড়া, বাড়ী ছাড়া দেশ ছাড়া করেছে। পিতা নৌকায় ভোট দেবার কারণে আড়াই বছরের শিশুকে আখের গুড় বানানো তাফালে ছুড়ে হত্যা করেছে। মানবতার বিরুদ্ধে,সভ্যতার বিরুদ্ধে জনগনের বিরুদ্ধে ওরা যুদ্ধ ঘোষনা করেছিল। ওদের একটাই উদ্দশ্য ছিল জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করে চিরদিনের মত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করা। আকাশে বাতাসে তখন শোকের মাতম। ঠিক তেমনি একটি সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা সাবেক ছাত্রলীগেরর নেতা কর্মীর সমন্নয়ে যুব মহিলালীগ সৃষ্টি করেছিলেন।
জন্মেই দেখেছে সে ক্ষুব্ধ জন্মভূমি। তাই সত্যের সংগ্রামে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার পা ছুয়েঁ শপথ নিয়েছে, প্রয়োজনে——– জীবন দেবে, রক্ত দেবে, লাশ হবে তবুও বিএনপি জামাতের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করে জননেত্রী শেখ হসিনার নেতৃত্বের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে তবেই ঘরে ফিরবে।
কথা রেখেছে যুবমহিলালীগ,বিএনপি জামাতের হিংস্র পশুর নখর দন্ত, রক্ত চক্ষু,নির্যাতন নিষ্পেষণ উপেক্ষা করে প্রতিটি আন্দলন সংগ্রামে রাজপথে থেকেছে। কখনোবা বেয়নেটের আঘাতে মাথা ফেটে ফিনকি দিয়ে গড়িয়ে পড়া রক্তে ভিজে জ্ঞান হারিয়েছে কিংবা দ্রুত বিচারের মামলা মাথায় নিয়ে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। আবার কখনো রিমান্ডে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছে যার চিহ্ন এখনো শরীরে বয়ে বেড়াচেছ। প্রতিটি নেতা কর্মীর অগনিত মামলার বোঝায় জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিএনপি জোটের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিটি কর্মসুচিতে বহুসংখ্যক আহত হয়েছে এবং প্রায় অর্ধাশতাধিক নেতা কর্মীকে আহত হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে। তবুও যুবমহিলালীগ সাহসী সংগ্রাম ঐতিহ্যে নিজেকে গৌরবান্নিত মনে করে। কেননা যুব মহিলালীগের যে উদ্দেশ্য নিয়ে সংগঠনটি যাত্রা শুরু করেছিল তা ইতিমধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেকটাই বাস্তবায়ন করেছেন এবং আগামীতে তিনিঁই শতভাগ বাস্তবায়ন করবেন। আমরা চাই ——–
# রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনে নারীর সমাধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
# নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করা।
# অশিক্ষা, কুসংস্কার, কুপমন্ডুকতা,পশ্চাৎপদ ধ্যানধারণা ও গোড়ামীর বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে জাতি গঠনে নারীর যোগ্য ভূমিকা পালনের পরিবেশ সৃষ্টি করা।
# যুব নারী সমাজকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে তাদের রাজনীতিতে অধিকতর অংশ গ্রহনে উৎসাহিত করা।
# সর্বপ্রকার নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি বৈষম্য নারী ও শিশু পাচার,যৌতুক ও ফতোয়াবাজ এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে নারীদের সংগঠিত করা।
# নারী শিক্ষা ও কর্মসংস্থানেরর রাষ্ট্রীয় অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা।
# গঠনতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত এবং মানবসত্তার সর্বাঙ্গীণ বিকাশ।
# দারিদ্র ও শোষন মুক্ত সমাজ গড়ে তোলা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের আধুনিক উন্নত দেশ প্রতিষ্ঠার জন্য অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়বার প্রয়োজনে যুবমহিলালীগ বিশ্ব কাপাঁনো আন্দলনের ঝাপি নিয়ে সদাই প্রস্তুত রয়েছে।
শুভ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে দুপুর দুইটায় ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করা হবে।
বিকাল পাচঁটায় গনভবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করবো।