এ কেমন বর্বরতা?
রানা কাদির,বাংলার চোখ/পক্ষকাল চুয়াডাঙ্গা, ০৮ জুলাই চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ঘরের টিনের চালে ইট মারার অভিযোগে মা-মেয়েকে বাঁশের খুটির সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার জামজামি ঘোষবিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পরিনি। অভিযুক্তরা নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্যদের নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। বর্তমানে পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছে। আর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্যাতিতরা হলো চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়ানের ঘোষবিলা গ্রামের মসজিদপাড়ার হানেফ আলির স্ত্রী রিনা খাতুন ও তার মেয়ে ইয়াসমিন। ইয়াসমিন ঘোষবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী।
গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জামজামি ইউনিয়ানের ঘোষবিলা গ্রামের মসজিদপাড়ার মিষ্টার আলির ঘরের টিনের চালে কে বা কারা বেশ কিছু দিন ধরে ইট মারে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার বিকালে মিষ্টার আলির টিনের চালে ইট মারে। বিষয়টি প্রতিবেশি কমেলা খাতুন ও রিনা খাতুনকে দোষারোপ করে মিষ্টার। সন্ধ্যায় মিষ্টার আলি ইট মারার বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশি রিনা খাতুনের সাথে ঝগড়া শুরু করে।
পরে মিষ্টার আলি, তার স্ত্রী, মা, ভাই ও সন্তান মিলে রিনাকে মারার জন্য লাঠিসোটা নিয়ে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। মা-মেয়ে ভয়ে প্রতিবেশি আব্দুল মান্নানের বাড়িতে আশ্রয় নিলে মিষ্টার গং সেখান থেকে টেনেহেচড়ে ধরে নিয়ে আসে তাদের বাড়িতে। এরপর বাঁশের খুটির সাথে দড়ি দিয়ে বেধে মিষ্টারসহ পরিবারের সদস্যরা এলোপাতাড়ি লাঠিসোটা ও বাটাম দিয়ে মারপিট করে আহত করে। পরে বিষয়টি স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশকে গ্রামবাসীরা খবর দিলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
মিষ্টার আলি বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি দিচ্ছে। পরিবারটি আতঙ্কে রয়েছে। ইয়াসমিন ভয়ে স্কুলে যেতে পারছেনা। গত রাতেই আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিষ্টারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিষয়টি এত বড় ঘটনা হবে বুঝতে পারিনি।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করার জন্য লোক পাঠিয়েছি ঘটনাস্থলে। তার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।