সোমবার, ১০ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি | সম্পাদক বলছি » প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ভাবনা বিএনপি’র
প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ভাবনা বিএনপি’র
পক্ষকাল সংবাদ: উচ্চ আদালতের রায়ে বাতিল হয়ে যাওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলেই সহায়ক সরকারের প্রস্তাব দিতে চলেছে বিএনপি। তবে কিছু বিকল্প প্রস্তাবও থাকতে পারে। এমনকি শেখ হাসিনাকে প্রধান রেখেই হতে পারে বিএনপির নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা। এবার হার্ড লাইনে না গিয়ে আলাপ-আলোচনার ওপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র নেতারা।
২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে রাজনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া বিএনপি এবার কৌশল পাল্টাচ্ছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মাঠ পর্যায়ের প্রস্তুতি যেমন শুরু করেছে তেমনি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা জাতির সামনে নিয়ে আসতে চান খালেদা জিয়া।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে- রাষ্ট্রপতি, স্পিকার কিংবা আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে নিরপেক্ষ বিশিষ্টজন হবেন সহায়ক সরকারের প্রধান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে সহায়ক সরকারের রূপরেখার ধারণা দিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনে যেহেতু নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, তাকে পদত্যাগ করে অন্য কাউকে এ দায়িত্ব দিতে হবে। যিনি নিরপেক্ষ থাকবেন।
সহায়ক সরকারের যারা থাকবেন, তাদের সম্পর্কে ধারণা দিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘যারা ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী দলের প্রতি কারোর প্রতি কোনো সহানুভূতি থাকবে না।
আর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে যে, যেটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে, আমাদেরকে সবসময়ের জন্য এটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে এটাকে সংবিধানে এটাকে ইনকরপোরেট (যুক্ত) করতে হবে।
শেখ হাসিনার অধীনেও নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে দলের হাইকমান্ডে। সেক্ষেত্রে ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে নির্বাহী ক্ষমতা কমানো, সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বচনে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামোগত ধারণা দিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে যদি তারা ওই প্রধান করতে চান, তাহলে অবশ্যই তার সমস্ত ক্ষমতা খর্ব করতে হবে নির্বাচনকালীন সময়ে।’
আর, এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তার ভাবনার কথা তুলে ধরেন এভাবে, ‘যে মন্ত্রিসভাটি থাকবে, সেটি সর্বদলীয় হতে পারে। সেখানে টেকনোক্রেট মন্ত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় দেওয়া যেতে পারে। যেমন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংস্থাপন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়।’
তবে, প্রস্তাবনা যাই হোক গুরুত্ব পাচ্ছে সরকারের সাথে সংলাপে বসা। এবার হার্ড লাইনে না গিয়ে কার্যত আলাপ-আলোচনার মাধ্যামেই সমঝোতায় আসতে চান তারা।
সংলাপের ওপর জোর দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রস্তাবনাটা রাখবো। তখন আমরা চাইবো একটা মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে। কারণ এটা বিএনপির একার কোনো বিষয় না।’
আর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকার কেমন হবে। তাদের দায়িত্বের পরিধি কি হবে, এরজন্য সংলাপ প্রয়োজন, সরকার এবং বিরোধী দলের।’
এ মাসের মধ্যভাগে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। সেখানে তারেক রহমানের সাথে আলোচনার পরেও চূড়ান্ত হতে পারে এসব বিষয়।