নিখোঁজ হওয়ার ৪দিন পর মুন্সিগঞ্জ থেকে লাশ উদ্ধার
রাজবাড়ী প্রতিবেদক : নিখোঁজের ৪দিন পর ২ জানুয়ারী বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার বেজগাও এলাকার একটি পুকুর থেকে রাজবাড়ী বাজারের কাপড় ও ওষুধ ব্যবসায়ী সোহাগ ঢালী(২৬) এর পা বাঁধা অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করেছে শ্রীনগর থানার পুলিশ।
নিহত যুবক সোহাগ ঢালী রাজবাড়ী কাপড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও মেসার্স ঢালী ষ্টোরের মালিক ও কাপড় ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোঃ ইউনুছ ঢালীর একমাত্র পুত্র। গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে সে নিখোঁজ হয়। তার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছে বাজারের ব্যবসায়ীরা। শোকের মাতম চলছে পরিবারটিতে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে ব্যবসার কথা বলে সোহাগ রাজবাড়ী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করে। ঢাকায় পৌছে সে তার মোবাইল ফোন (০১৭১৫-২৮৬৮৭৫) দিয়ে তার পিতা ইউনুস ঢালীর সাথে কথা বলে। এমনকি রাত ৮টার দিকেও সে আবার ফোন করে কথা বলে। এর কিছুক্ষন পরেই তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। ৩০ ডিসেম্বর রাজবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়।
২রা জানুয়ারী বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বেজগাও এলাকায় একটি পুকুরে সোহাগের পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। শ্রীনগর থানার এস.আই মোঃ কামাল হোসেন জানান, সোহাগের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সোহাগ ঢালী পরিবারের দাবী, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে মোবাইলে ডেকে নিয়ে সোহাগকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে রাখে। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
সোহাগের বন্ধুরা জানায়, গত ২৯ ডিসেম্বর সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তির ফোন পেয়ে সে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়িখাল ইউনিয়নের দামলা গ্রামে তার পৈতিক বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তবে সে বাড়ীতে ঢাকা যাওয়ার কথা বলে। মুন্সীগঞ্জ যাওয়ার সময় ওই দিন বিকেল ৫টার দিকে সে মাওয়া ফেরী ঘাটে তার চাচাতো ভাই নাঈমের সাথে চা খেয়ে সেখান থেকে বিদায় নিয়ে ঢাকা যাবে বলে চলে আসে। এরপর থেকেই সোহাগের আর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।