রবিবার, ১৬ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি | সম্পাদক বলছি » শেখ হাসিনা বন্দি হওয়ার আগেই টেলি কনফারেনস করতে চেয়েছিলেন জয়
শেখ হাসিনা বন্দি হওয়ার আগেই টেলি কনফারেনস করতে চেয়েছিলেন জয়
শফিকুল ইসলাম কাজল
রোববার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দিদিবস। এক-এগারোর সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাইশেখ হাসিনাকে সুধা সদনের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারেরআগে শেখ হাসিনার নামে একাধিক মামলাও দেয়া হয়। গ্রেফতারের পর তাকে বন্দীরাখা হয় জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে বিশেষ কারাগারে। আমি সেরাত-দিনের প্রতক্ষ্য দর্শী।
১৫ তারিখ সকাল বেলায় চারদিকে চাপা শব্দ গুন গুন আর ফিস ফিস আওয়াজ শুনেছুটে গেলাম সুধাসদনে।আজ নাকি বঙ্গবন্ধুকন্যাকে গ্রেফতার করা হবে,আমি তখন সমকালের সিনিয়র ফটো সাংবাদিক সাথে আমেরিকার ‘ওয়ার্লড পিকচার নিউজ’-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি। আমি আর শাহেদ ভাই তখন আওয়ামী লীগের সংবাদ সংগ্রহ করি। আমি প্রতিদিন সুধা সদনের সামনে আসি।দেশে তখন সব কিছু নিষিদ্ধ অবরুদ্ধ।গৃহবন্দি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ জানতে দলের কোনো নেতার দেখা পাওয়াই গেল না। সকলেই নিজেদের টাস্কফোর্সের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য হাওয়া হয়ে গেছে বলে মনে হলো।
বলতে গেলে নিজেরাই নিজেদের গুম করে ফেলেছেন। সকালে শেখ হাসিনারআলোকচিত্রী শহিদুল হক জীবনের সাথে দেখা,জানতে চাইলাম কোনো গুরুত্বপূর্ণ খবর আছে কিনা। ও শুধু বলেছিল, সবার চেয়ে তুই ভালো বলতে পারবি।
বললাম, তুই সুধাসদনের ভিতরে যাসনি? ও বলল, না।
আমি বেলা ১টার দিকে শাহেদ ভাইকে আপডেট সংবাদ জানিয়ে দিই।ভাই তখন বলেছিলেন, তোর বাসা আপার (হাসিনা) বাসার কাছেই, তুই সজাগ থাক কিছু হলেই আমি জানিয়ে দিবো। আমার বন্ধু সাংবাদিকদের সবাইকে আমি সজাগ থাকার জন্য বলে দিলাম। অপুকে বললাম, চারদিকে আমাদের সোর্সদের কাজে লাগিয়ে দে। কখন কী হচ্ছে জানতে হবে। প্রেসক্লাব চলে গেলাম ১টার দিকে,সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায়।
যেখানে আমি আস্তানা গেড়েছি দেশের সব সংবাদ পাওয়ার জন্য। বন্ধুরা-ছোট ভাইরা, যারা বিভিন্ন পত্রিকাতে কাজ করছে সেসময় তাদের বলে রাখলাম কোনো সংবাদ পেলেই যেন জানায়।
জামাল, আমি, রহমত, আনিস ভাই ও অপু মিলে চারদিকে খবর জানার চেষ্টা করতে থাকলাম। এরমধ্যে যুব মহিলা লীগ নেত্রীর পাগল করা ফোন সারাদিন বেজেই চলেছে। আমি বলে দিয়েছি- ঘরের বাইরে আজ বের হওয়া যাবে না।আমি সংবাদ হলেই জানিয়ে দিবো।
রাত হয়ে গেল। অপুকে বললাম-তুই অফিসে যা, আমার মন যেন কেমন করছে। ও আর জামাল বলল- ওস্তাদ কিছু হবে না।
সন্ধায় আবার আমি চলে গেলাম সুধা সদনের কাছে।আগেই আমি সমকাল অফিসে বলেদিয়েছি আজ আর অফিসে আসতে পারব না। সুধা সদনের সামনে এসে দেখলাম টাইট সিকিউরিটি।আমরাআমাদের মাঝেই সংবাদ আদান প্রদান করছি। কেউ বলছে আজ গ্রেফতার হবে না, কেউ বলছে হবে।এই করতে করতে রাত সাড়ে এগারোটা পার হলো কিন্তু আমরা কেউ নিশ্চিত হতে পারলাম না নেত্রী গ্রেফতার হয়েছেন কি না। সবাই যার যার মতো চলে গেল একে একে। আমি চেষ্টা করছি সঠিক সংবাদ বের করার। না, বের করা গেল না। ১২টার পর আমি বাসায় ফিরলাম জামা-কাপড় ছেড়ে ফ্রেস হয়ে কেবল খেতে যাব- এমন সময় জীবনের ফোন।তখন রাত ১২টা৪৫ মিনিট।
· ভীষণ কান্নাজড়িত কণ্ঠে আমাকে বলছে- দোস্ত আপা গ্রেফতার হয়েছে,সবাইকে বেরকরে দিয়েছে। কেউ নাই,প্লিজ তুই তাড়াতাড়ি যা সুধা সদনে।আপার অনেক বিপদ, কেউ নাই জলদি যা।
· আমার শরীর তখন কাঁপছে। নয়ন মানে আমার বউকে বললাম, আমি সুধা সদনে যাচ্ছি।
· ও বলল, এতরাতে তোমার একা যাওয়া ঠিক হবে না।তুমি সবাইকে খবর দাও।
· আমি নিজেকে স্থির করে অপুকে ফোন করলাম। জলদি চলে আয় আপা গ্রেফতার হয়েছে। জলদি জামাল আর রহমতকে খবর দে। আমি ল্যাব এইড-এর সামনে আছি। বলেই ঘর থেকে বের হলাম আমার আর সারাদিনে কিছুই খাওয়া হলো না।
· অপু চলে এলো রাত দেড়টায়। দুজনই সুধা সদনের দিকে মুভ করলাম। তখন নিয়ন আলোর নিভু নিভু বাতি।সুধাসদনের অনেক আগেই অনেক বাহিনীর গাড়ি দেখা যাচ্ছিল। আমরা আস্তে আস্তে যাচ্ছি বাইকে করে। রাস্তায় কোনো মানুষ নেই। দু-একটা কুকুর দেখা যাচ্ছে। নীরব-নিস্তব্ধ-ভয়াল রাত। আমার মনে নানান শঙ্কা। ভাবছি, ১৫ আগস্টের রাত কিএমন ছিল। আমার মতো এমন পাগল সাংবাদিক কি সেদিন ছিল। এক সময় তাকিয়ে দেখি আমি টাস্ক ফোর্সের কনভয়ের সামনে । একটা শব্দ কানে আসলো। হল্ট সামনে যওয়া যাবে না।আপনারা কারা? এতরাতে এখানে কেন? বাইক থেকে নামিয়ে যে ব্যবহার তারা শুরু করলেন পরিচয় জানার পর তা কি লিখে বর্ণনা করা যাবে।কাঁধে ক্যামেরা তাতে কি হও বিবস্ত্র। দাঁড়িয়ে থাক রাতভর। বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু তখন ছিল বাকরুদ্ধ আর কণ্ঠরুদ্ধের কথা না বলার আমল।
মনে মনে আল্লাহকে স্মরণ করছি আর ভাবছি হচ্ছে কী ভিতরে। শুনছি কম্পিউটার তল্লাশি করছে, স্যাররা নিজেদের মাঝে বলাবলি করছেন। সাড়ে তিনটার দিকে একটি চ্যানেলের গাড়ি দূর থেকে দেখতে পেলাম। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলাম আজান পর্যন্ত। অতঃপর, সকাল হলো। নিজেদের জানে পানি এলো।
এ সময় দেখলাম, নেত্রীকে সিকিউরিটির বেষ্টনে ঘিরে কোথায় যেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কেউ বলতে পারছেন না।শুরু হলো ছবি উঠানো। ছবি আর কী উঠাবো- সিকিউরিটির চোখ গলিয়েকিভাবে নেত্রীকে বের করে নিয়ে যাই, সেই চিন্তায় বিভোর।
কোথায় নিয়ে যাবে এইটুকু জানার চেষ্টা করলাম। জানলাম- কোর্টে নেয়া হবে। খুব সকালেই বের করে নিয়ে যাচ্ছে গ্রেফতার করে।আমি অপুক বলে দিলাম- তুই সোজা চলে যা কোর্টে। আমি গাড়ির সাথেইথাকছি। ও চলে গেল।
আমার মাথায় তখন অন্য চিন্তা কাজ করছে।রাস্তায় প্রতিরোধ হবে কোথাও না কোথাও। এই আশা থেকে গেলাম গাড়ির বহরের সাথে। সুধা সদন থেকে বের হয়ে গেল গাড়ি। আমি ছুটে গেলাম নীলক্ষেত বরাবর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দিকে। আর নিজেই চলতি পথে স্বপ্ন দেখছি- ছাত্ররা বাধা ছিন্নভিন্নকরে ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে। ক্যাম্পাসে তাকিয়ে দেখি টিপু ১৫/২০ জন ছাত্র নিয়ে মিছিল বের করেছে।অনেক রাগ হলো, মন খারাপ হলো। একটা ক্লিক করেই আমি ছুটে চললাম জিরো পয়েন্টের দিকে। জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি যেতেই দেখলাম- নেত্রীকে নিয়ে গাড়ির বহর চলে যাচ্ছে কোর্টের দিকে।পিছনে তাকিয়ে দেখি ৫০/৬০ জনের একটা মিছিল দৌড়ে আসছে। দাঁড়ালাম। ক্লিক ক্লিক কয়টা ছবি তুলে ফেললাম।তাকিয়ে দেখলাম- কোনো খুচরা নেতাও নাই। আছে অতি সাধারণ মানুষ।
আবার ছুটে গেলাম দয়াগঞ্জ বরাবর। সেখানেও সেই একই হাল। নেতা নাই আছে অতি সাধারণ মানুষ। ছুটে এসেছে মায়ার টানে। ক্লিক মাথায় কাজ করছে এই ছবিই হয়ে যাবে একদিন ইতিহাস। এবার সোজা বাইক রাখলাম রাস্তায় কোর্টের মুখে। নেত্রীকে কোর্টে তুলে ফেলেছে দেখে নিজকে নিজেই বললাম- নো প্রবলেম। বের হওয়ার সময় ছবি তুলে নিবো।
এপাশ ওপাশ তাকিয়ে দেখছি,ঝুমারা দাঁড়িয়ে আছে হতবিহ্বল হয়ে। হঠাৎ নিলুর ফোন।রিসিভ করতেই বলল, আমি আসব কি না। বললাম- রাখেন এখন, পরিস্থিতি ভালো না। অপু উকিলকে একটু খবর দেন।আমিই আছি আপনার হয়ে। শুরু হলো আবার ক্লিক। আমাকে দেখে অনেকেই কান্না থামাল।শুরু হলো মিছিল। চারদিকে অগোছালো মিছিল। ছবি তুলছি মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ আর সাধারণ মানুষের মিছিল। নেতাহীন দিকহীন নিস্ফল নির্বাক প্রতিরোধ মিছিল। দেখে বোঝা গেল জীবন বাজি রাখার, জীবন দান করার একজনও নাই এই সংকটকালে। হায়রে বাকরুদ্ধ দল।লাভলি গ্রেফতার হয়েছে সেই ছবি আমি তুলতে পারিনি। আমি একা তো। বাকিদের সবার ছবি তুলে ফেলেছি।
পুরান ঢাকার কোর্ট ভবন। আওয়ামী লীগের সভানেত্রীকে নেয়া হয়েছে সি এমএম কোর্টে। আমরা নীচে।পুলিশের সাথে চলছে সাধারণ কর্মীদের বাকবিতণ্ডা।খুব ভোরে যারা ছুটে এসেছেন নেত্রীকে দেখতে তাদের সাথে হাই-হ্যালো বলবার মতো সময় নাই।আমি তখন বাজপাখির মতো চেয়ে আছি- এই বুঝি লঙ্কাকাণ্ড হয়েযাবে। না কিছুই হয় না। সবাই কর্মী। নেতা একজনও নাই, যে লড়াইয়ের ডাক দিবে। সবাই লাপাত্তা।
গৃহবন্দি শেখ হাসিনাকে ১৬ জুলাই কারাবন্দি হয়ে সাব জেলে নেবার আগ মুহূর্ত পর্যন্তসেদিন একজনক্ষুদ্র নগন্য সাংবাদিক হিসেবে রয়টার্সের রফিক ভাই,আবিরআব্দুল্লাহ, বিবিসির কাদির কল্লোল,ডেইলি স্টারের তাসনিম খলিল, আজাদ, সমকালের শাহেদ ভাই যারা ওয়ান ইলাভেনের সময় সার্বক্ষণিক সেসময় মাঠে নিরলসভাবেসংবাদ নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন কোথাও কোনো নতুন সংবাদ থাকলেই ছুটে গেছেন।তাদের সঙ্গী হতে পেরে আমি গর্বিত।
রাজনীতিশূন্য আর নেতাশূন্য দেশের জন্য গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা না থাকলে কী হয়-সেই অভিজ্ঞতা ছিল আমার শিক্ষাজীবনেই। আমি ৯০-এর সামরিক শাসনবিরোধী ঢাকা বিশবিদ্যালয়ের সংগঠক ছিলাম।তাই গৃহবন্দি শেখ হাসিনার জন্য আমরাচেষ্টা করেছি নানাভাবে।আমাদের বন্ধু চ্যানেলআই-এর আরেফিন ফয়সাল যখন অপুকে বলেছিল- সজীব ওয়াজেদ জয় তার মায়ের হয়েটেলি প্রেস কনফারেন্স করতে চান।আশরাফুল আলমখোকন কথা বলতে চান আমাদের সাথে। সেই টেলি কনফারেন্স নিয়ে ৩ বারকথা হলো খোকন এবং জয় মামার সাথে।
অবরুদ্ধ দেশ। চারদিকে গোয়েন্দা নজরদারি।আধুনিক টেলি কনফারেন্স করার মতো ফোন আমাদের কাছে ছিল না।আমি আর অপুম্যানেজ করে ফেললাম ফোন। সল্প পরিসরে চেষ্টা করলাম রিপোটার্স ইউনিটিরদুতলায় গোপনে আয়োজন করে। আমাদের এই চেষ্টা ভণ্ডুল করে দিয়েছিল আমাদেরজাত ভাই। আমাদের সেদিন গ্রেফতার করিয়ে দিতে চেয়েছিল এই গোপন সংবাদটিগোয়েন্দাদের দিয়ে। সময়টা ছিল ৩টা ৪৫ মিনিট। আমরা সেদিন টেলিকনফারেন্স করতে পারিনি ঠিক কিন্তু থেমেও থাকিনি।
তাই মুক্তির দাবিতেযেদিন প্রথম প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল সেদিনের নির্যাতিত সাংবাদিক কাজল-অপু রায়।ঢাবির খেলার মাঠ নিয়ে সেনাবাহিনীর সাথে ছাত্ররা সংঘাতে জড়িয়ে গিয়েছিল। তার ছবিতুলতে গিয়ে অপুকে সেনাবাহিনী গ্রেফতার করে জামা-কাপড় খুলে বসিয়েরেখেছিল। নির্যাতন করেছিল। আমরা সেদিন যে পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলাম তাআজ শুধুই গল্প। আমি সুন্দর ছবি তুলি না।আমি সময়কে ধারণ করি। তাই মিলনযখন বলে, ভাইনেত্রীর মুক্তির জন্য আমরা পোস্টার বানিয়েছি কিন্তু দেয়ালে দেয়ালে টাঙাতেসাহস পাচ্ছি না।
তখন এই কাজল-অপুই নিজেরাই সাথে থেকে সেই পোস্টার দেয়ালে টাঙিয়েসেই ছবি তুলে পত্রিকাতে ছাপানো হয়েছিল। এই কঠিন সময়ের রাত-দিনের সাক্ষী আমি। এ রকম কত ঘটনার মুখোমুখি যে আমি হয়েছি তার ইয়ত্তা নেই। যুব মহিলা লীগেরসকলকে রাজপথে নেমে আসার সাহস জুগিয়েছি। এমন কোনো আন্দোলন নেই যেখানে আমারউপস্থিতি ছিল না।পীর হাবিব ভাই সেসময় লেখার চেষ্টা করেছিলেন অনেক কিছু নিয়ে।
আর আমি চেষ্টা করেছি রাজপথে সাথে থেকে লড়াইয়ের সাহসী যোদ্ধা হয়ে থাকার।গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য।কণ্ঠরোধের বিরুদ্ধে আজীবন যোদ্ধা আমি।
১৬ জুলাই কোর্টেই আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাজানিয়ে দিয়েছিলেনভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বে থাকবেন বর্ষীয়ান আর আস্থাভাজন নেতা জিল্লুররহমান। সেদিন এইআমি ছুটে গেছি গুলশানের জিল্লুর রহমানেরবাসভবনে।
যখনই জিল্লুর ভাই তার বাসভবনে ডাক দিয়েছে মুক্তির আন্দোলনের কোনো বিষয়ে,আখতার ভাইয়ের ফোন বেজে উঠেছে কাজল ভাই আপনি কোথায়চলে আসেন গুলশানে।বলাবাকি হাজির হতে সময় লাগেনি।
নিঃস্বার্থ নিবেদিত একজন সাধারণ, অতি সাধারণ সাংবাদিক এই আমারপ্রতিদিন সাব জেল-এর সামনে থাকাছিল নিয়মিত কাজ।
আজ অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী কিন্তু মহাসংকট কালে গণতান্ত্রিক শাসনকে ফিরিয়ে আনতে আমি থেকে আমরা অনেকেই নিরলস চেষ্টা করেছি।তার জন্য আমাদের একটি অর্থ দিতে হয়নি,দিতে হয়নি কোনো বিশেষ সুযোগ।কিন্তুআমাদের কাছে অনেক না বলা কথা আছে যা শোনার কেউ নাই ।আমি দেশের সব মানুষেরগণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে থেকে আমার সীমিত সাধ্যের মধ্যে দিয়ে যা করারছিল তাই করেছি।যা কোনোদিন ভোলা যাবে না তা হলো- কারাবন্দিথেকেকারামুক্তির সেই ভয়াল স্তব্ধ সময়কে কিভাবে অতিক্রম করেছি।
সেই চরম সত্যকে যখন দেখি সব নিজের লাভের জন্য চিৎকার করছে, ভিন্ন মতকে কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে তখনআজ ১০ বছরেরমাথায়এসেকিছু বলার জন্য তাগিদ থেকেই আমার এই অগোছালো সরব প্রতিবাদ। মিথ্যাদিয়ে সত্য চাপা রাখা যায়নি,যাবেও না।সবাই বলুন আমি নয় আমরাই দেশের ক্রান্তিকালের মহা বীর।