মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » ইয়াহিয়া মুজিবের মামলা প্রত্যাহার করে বৈঠকে বসেছিলেন, আ.লীগকেও তাই করতে হবে : দুদু
ইয়াহিয়া মুজিবের মামলা প্রত্যাহার করে বৈঠকে বসেছিলেন, আ.লীগকেও তাই করতে হবে : দুদু
পক্ষকাল সংবাদঃ
পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলাদেওয়া হয়েছিল। শুধু আওয়ামী-লীগকে দমন করার জন্যে। কিন্তু যখন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান গোল টেবিলের আয়োজন করেছিলেন, তখন কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহার করেই তাকে বৈঠকে ডেকেছিলেন। তাই আপনারা যদি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আসতে চান তাহলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহার করেই সামনের কথা চিন্তা করতে হবে বলে জানালেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু।
চ্যানেল আইয়ের ‘তৃতীয় মাত্রা’ অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, আইয়ুব খান শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের ওপরে অনেক অত্যাচার চালিয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার পতন হয়েছে। যা এখন ইতিহাসের দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, আপনারা যদি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আসতে চান তাহলে আপনাদেরকে বেগম জিয়ার মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। সভা সমাবেশের অধিকার দিতে হবে। বিরোধীদলগুলোর নেতাদের ওপর যে মামলা আছে এব্যাপারে সরকারকে সচেতন ও একটি ক্রিয়াশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
দুদু আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বলেছে, ডিজিটাল যুগে নির্বাচনে গেলে সবতো দেখা যাবে সেখানেতো কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। কিন্তু আমার কথা হলো ডিজিটাল যুগেইতো শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করেছিলেন। সেই নির্বাচন কেমন হয়েছে সেটাতো আমরা জানি এবং বাংলার জনগণও জানে। সেই নির্বাচন যে ভয়ঙ্কর নির্বাচন, যে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা সেটা আমরা সবাই জানি।
শুধু ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন নয়। এর পরে আমরা যে ২টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন দেখেছি সেখানেও একই রুপ। এই ডিজিটাল যুগেই বেগম জিয়ার গাড়িতে ১৩ বার হামলা হয়েছে। তার নিরাপত্তা কর্মীকে রাস্তায় মেরে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বলেছে যে, গুন্ডামিতন্ত্রের মধ্যদিয়ে যদি বিএনপি টিকে থাকতে পারে। অথচ তাদের আমলে বেগম জিয়ার গত ২ বছর ধরে ঢাকায় একটি বড় সভা করতে পারেনি। করতে দেওয়া হয়নি। তার পরেও যদি তারা মনে করেন যে, তাদের এই অনিয়ম চলবে। তাহলেতো আমাদের বলার কিছু নাই। আমরা যখন পারবো সমাবেশ করতে, তখন আমরা করবো।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী-লীগ একসময় ভোটের জন্য কথা বলেছে, পাকিস্তান আমলেও ভোটের জন্য কথা বলেছে। আবার এটাও ঠিক যে, তারাই ক্ষমতায় এসে আবার ভোটাধিকারও কেড়ে নিয়েছে। এখন ভোট বলতে কিছু নেই। আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে এমন অনেক ঘটনাই আছে। সেই কারণে, সংবিধানে কি আছে বা না আছে এটা নিয়ে অনেক আলোচনার বিষয় আছে। কিন্তু এটি বর্তমান সরকার মানে না।