গুলশান অফিসে অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া
পক্ষকাল প্রতিবেদকঃ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুলশানে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছেন ।বিপুল সংখ্যক পুলিশ তাঁর কার্যালয়ের আশে পাশে ঘিরে অবস্থান নিয়ে আছে। শনিবার রাত কাটিয়েছেন খালেদা জিয়া নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে। এখনো তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। রাস্তার দুই মুখে অবস্থান নিয়ে আছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। ওই রাস্তায় সাধারণ যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষজনের চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।বেলা ১২টার দিকে বিকল্প ধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যেতে চাইলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। পরে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের দুটি প্রতিনিধি দল গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। বিএনপির অল্পকিছু সংখ্যক নেতা-কর্মী গুলশান কার্যালয়ের কাছে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার কার্যালয়টি একটি দোতলা ভবন। খালেদা জিয়া বসেন দ্বিতীয় তলায়।গত রাতে দ্বিতীয় তলায় খালেদা জিয়ার বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ কয়েকজন মহিলাকর্মী খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শনিবার রাত আটটার দিকে বাসা থেকে কার্যালয়ে যান বিএনপির চেয়ারপারসন। রাত নয়টার দিক থেকে কার্যালয়ের সামনে পুলিশ বাড়ানো হয়। বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান দাবি করেন, গত রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের মূল ফটকও গাড়ি দিয়ে আটকে রাখে পুলিশ। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বের হওয়ার জন্য গাড়িতে ওঠেছিলেন। কিন্তু বের হতে না পেরে ১০ মিনিট বসে থেকে তিনি আবার ওপরে চলে যান।তিনি অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
অবশ্য স্বারষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করার প্রশ্নই আসে না। তিনি নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করতে চেয়েছিলেন।গোয়েন্দা সংস্থা মনে করেছে তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া দরকার। তাই তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।খালেদা জিয়া রাতে নয়াপল্টন কার্যালয়ে যেতে চেয়েছিলেন।তাঁদের কাছে তথ্য ছিল, খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারির সমাবেশকে সামনে রেখে আগ থেকেই নয়াপল্টন কার্যালয়ে অবস্থান নিতে পারেন। এ কারণে তাঁকে বের হতে দেওয়া হয়নি। খালেদা জিয়াকে আপাতত তাঁর কার্যালয় এবং বাসার বাইরে কোথাও যেতে দেওয়ার সম্ভাবনা কম বলে ওই সূত্র জানিয়েছে।