বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » শিক্ষা ও ক্যারিয়ার | সম্পাদক বলছি » শাহবাগে সাত কলেজের আন্দোলনে পুলিশের হামলায় ১২ ছাত্র আহত
শাহবাগে সাত কলেজের আন্দোলনে পুলিশের হামলায় ১২ ছাত্র আহত
শফিকুল ইসলাম কাজল
: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ১২ শিক্ষর্থীকে আটক করেছে পুলিশ এবং এ ঘটনায় পুলিশসহ ৭ জন আহত হয়েছে।
রাজধানীর শাহবাগে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ পর তাদের আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার এসআই (উপ পরিদর্শক) শফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, পুলিশের কাজে বাঁধা দেওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে কী করা হবে তা ঊর্ধ্বতন অফিসাররা বলতে পারবেন।
এদিকে শাহবাগে পুলিশের কাঁদানি গ্যাস ও ছত্রভঙ্গের পর দুপুর সোয়া ১২টা থেকে ঢাকা কলেজের সামনে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে আন্দোনরত
শিক্ষার্থীরা। এ কারণে সাইন্সল্যাব থেকে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত দুই দিকের সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যহত হচ্ছে।
ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী ইফফাত জাহান ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী তবিবুর রহমান জানান, ইডেন কলেজ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
নিউ মার্কেট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আতিকুর রহমান জানান, তাদের এলাকায় শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন। তবে তারা সড়ক অবরোধ করে রাখায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে সরিয়ে দিতে তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে নীতিমালা প্রণয়নসহ সাত দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে আসেন। পরে সেখানে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুইজন আহত হয়েছে। তারা হচ্ছেন সরাকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মাইনুল ইসলাম।
আন্দোলনরত কলেজগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল ইসলাম কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও মিরপুর বাঙলা কলেজ।
শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি হচ্ছে- অধিভুক্ত হওয়া কলেজসমূহের ব্যাপারে নীতিমালা প্রণয়ন এবং প্রকাশ (একাডেমিক সিলেবাস, পরীক্ষা পদ্ধতি, প্রশ্নের ধরন, প্রশ্নের মানবন্টন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কলেজসমূহের সম্পর্ক ইত্যাদি); সম্মান ২য় ও ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মৌখিক/ব্যাবহারিক পরীক্ষা অল্প সময়ে সম্পন্ন করে দ্রুত ফল প্রকাশ; সম্মান ৩য় বর্ষ এবং মাস্টার্স শেষ পর্বের পরীক্ষা দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রহণ; ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্স শেষ পর্বের ভর্তি কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা; ডিগ্রীর আটকে থাকা সকল বর্ষের পরীক্ষা দ্রুত সম্পন্ন করা; অধিভুক্ত কলেজসমূহের সকল তথ্য সংবলিত একটি ওয়েবসাইট তৈরি; শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং সেশনজট নিরসনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ।