সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » » রোহিঙ্গাদের দুর্দশার অবসানে পাকিস্তান ও ইরানের সেনা প্রধানদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান
রোহিঙ্গাদের দুর্দশার অবসানে পাকিস্তান ও ইরানের সেনা প্রধানদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান
ডেস্ক পক্ষকাল ঃ
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান (সিওএএস) জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এবং ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর স্টাফ প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসেন বাকরি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম সংকটের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এই মুসলিম সংখ্যালঘুদের দুর্দশার অবসান ঘটাতে মুসলিম বিশ্বের প্রতি ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।রোববার টেলিফোন কথোপকথনে দুই প্রধান সেনাপতি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাহায্য করার জন্য দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় নিয়েও আলোচনা করেছেন।
তারা মুসলিম বিশ্বকে আরও কিছু করতে এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশে রোহিঙ্গাদের “প্রতিকূল” এবং “অমানবিক” পরিস্থিতি বন্ধ করতে সহায়তা দেয়ার আহ্বান জানান।
তাসনিম নিউজ এজেন্স জানায়, বাজওয়া এবং বাকরি আরও বলেন যে মুসলিম দেশগুলোর সামরিক ও অ-সামরিক সংগঠন মিয়ানমারের অত্যাচারিত মুসলমানদের কাছে দ্রুত গতিতে তাদের বাহিনী ও মানবিক ত্রাণ পাঠানো জোরদার করতে পারে।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানরা দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হয়ে আসছে। ২০১২ সালে তাদের উপর পরিচালিত সহিংসতায় শত শত লোক মারা যায় এবং প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে তাদের বাড়ি থেকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত করে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া মিয়ানমারের সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
এর আগে, জাতিসংঘের শীর্ষ মানবাধিকার কর্মকর্তা মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সহিংসতাকে “জাতিগত শুদ্ধির একটি পাঠ্যপুস্তক উদাহরণ” হিসাবে চিহ্নিত করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার জাইদ রায়দ আল-হুসেন বলেন, সেখানকার সামরিক বাহিনীর চালানো “নিষ্ঠুর” নিরাপত্তা অভিযান আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি উদ্বাস্তুদের প্রতি আচরণ ব্যাপক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ এবং অন্যান্য অত্যাচারের ধারাবাহিক বিবরণ বলে উল্লেখ করেন।