খালেদা-সুষমা বৈঠক আজ রাতে
পক্ষকাল সংবাদঃবিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করবেন সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আজ রাতে এ বৈঠক হবে। রাত ৮টায় অনুষ্ঠিতব্য এ বৈঠকে অংশ নিতে সন্ধ্যা ৭টায় গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। দলটির কূটনৈতিক উইংয়ে দায়িত্ব পালনকারী দুটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দলের মহাসচিবসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতা অংশ নেবেন। তবে বিএনপির তরফে বৈঠকের স্থান-কাল সম্পর্কে কোন তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক কূটনীতিক সাবিহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, যথা সময়ে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মধ্যে সর্বশেষ বৈঠকটি হয় ২০১৪ সালের ২৭ জুন। হোটেল সোনারগাঁওয়ে সকাল ১০টা ২৭ মিনিটে অনুষ্ঠিত সে বৈঠকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলগীরসহ ৫জন সিনিয়র নেতা অংশ নেন। তারও আগে ২০১২ সালে ভারত সফরকালে সুষমা স্বরাজের সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন বৈঠক করেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, চেয়ারপারসনের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের এ বৈঠকটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বিএনপি। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারের অব্যাহত দমন নিপীড়ন এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশবাসীর প্রত্যাশার বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেয়া হবে। এছাড়া সম্প্রতি প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে সংঘটিত নানা ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে দেশের বিচার বিভাগের উপর সরকারের হস্তক্ষেপ এবং বিচার ব্যবস্থা নিয়ে সৃষ্ট সংকটের বিষয়টি বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব দেবে। সূত্র জানায়, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ও প্রতিবেশী হিসেবে আগামীতে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এবং সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভারতের আন্তরিক ভূমিকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করবে বিএনপি। সে নির্বাচনে ভারতকে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে থাকার আহ্বান জানাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
সূত্র জানায়, বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরবে বিএনপি। রোহিঙ্গাদের জাতিগত নির্মূলে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংস গণহত্যা, লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া, আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বান উপেক্ষা করে দেশটির সরকারের অযৌক্তিক আচরণের বিপরীতে বাংলাদেশের মানুষের মানবতাবাদী অবস্থানের কথা তুলে ধরবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সমস্যা, আঞ্চলিক শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্টের সমূহ আশঙ্কার কথা তুলে ধরে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্কের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এ সমস্যা সমাধানে ভারতের আন্তরিক সহযোগিতা চাইবেন খালেদা জিয়া। সে সঙ্গে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় এবং ঐতিহাসিক সম্পর্কের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করবেন।