জামাত-বিএনপি থেকে আসা কর্মীরাই এমপি’দের আস্থাভাজন
পক্ষকাল ডেস্ক ঃ
জামাত-বিএনপি থেকে আসা কর্মীরাই এমপি’দের আস্থাভাজন, হাসিনার হুঁশিয়ারিঅভিযোগের পাহাড় জমেছে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে।অভিযোগগুলো আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে। অধিকাংশ অভিযোগই এলাকায় গ্রুপিং এবং কোন্দলের। আছে দুর্নীতির অভিযোগ।সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির অভিযোগও কম না। এরা আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাক আর না পাক, এদের মন্দ কাজের ভার বহন করতে হবে আওয়ামী লীগকেই।
অবিলম্বে এসব বন্ধ না হলে প্রার্থী যেই হোক, তিনি বিরূপ পরিস্থিতির মুখে পড়বেন। তাই অবিলম্বে এসব বন্ধ করে ভালো হয়ে যাবার শেষ সতর্ক বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। হুশিয়ার করবেন দলের ক্ষতিকারকদের। নইলে নেওয়া হবে ব্যবস্থা।
কাল ২২ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক। বিকেলে সংসদ ভবনে এই বৈঠকে বক্তব্য রাখবেন, সংসদীয় দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সংসদীয় দলের এই সভায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন।
বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকা পর্যবেক্ষণ করে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দেখেছেন, খুব কম এলাকায়ই বিপুল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রচারণা রয়েছে। গত প্রায় নয় বছরে দেশে যে বিপুল উন্নয়ন হয়েছে, এমপিরা সেই উন্নয়নের খবর জনগণের কাছে পৌছাতে পারছেন না। সাফল্যের প্রচারণাও নেই। প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের ইতিবাচক কাজগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরার জন্য দলীয় সংসদ সদস্যদের নির্দেশ দেবেন।
প্রায় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দলে রক্তাক্ত। অনেক ক্ষেত্রেই দলীয় কোন্দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যরা। সংগঠনের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ভালো না। কোথাও কোথাও সংসদ সদস্যরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে পাল্টা আওয়ামী লীগ গড়ে তুলেছে। অন্তত ১০০ আসনে আওয়ামী সংসদ সদস্যরা জামাত বিএনপিকে আওয়ামী লীগের কর্মী বানিয়েছে। এরা আওয়ামী লীগের ভেতরে থেকে স্যাবোট্যাজ করছে।
শেখ হাসিনা সংসদ সদস্যদের কোন্দল না করতে সতর্ক করে দেবেন। কোন্দল করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে এরকম একটি পরিষ্কার এবং স্পষ্ট বার্তা দেবেন। আগামী নির্বাচনে যাকে মনোয়নয়ন দেওয়া হবে, তাকে বিজয়ী করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেবেন।
সংসদীয় দলের সভায় শেখ হাসিনা আগামী একবছর সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেবেন বলেও আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে। বিশেষ করে সরকারের শেষ বছরে সন্ত্রাসী ঘটনা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা হবে বলেও সংসদ নেতা সতর্ক করবেন। এজন্য প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় সন্ত্রাস,বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার নির্দেশ দেবেন।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা আসন্ন সিটি নির্বাচনগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে করে নৌকাকে জয়ী করার নির্দেশনা দেবেন।পাশাপাশি আগামী নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিও ইঙ্গিত দেবেন। তিনি বিএনপি জামাতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার জন্য দলীয় সংসদ সদস্যদের নির্দেশনাও দেবেন বলে জানা গেছে।
সংসদীয় দলের বৈঠকে, সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করবেন বলেও জানা গেছে।