বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের ড্রোন, স্মার্ট প্রাচীর
বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের ড্রোন, স্মার্ট প্রাচীর
পক্ষকাল ডেস্কঃভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) আগামী বছরের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন করবে এবং স্মার্ট প্রাচীর নির্মাণ করবে। চোরাচারালান এবং অনুপ্রবেশ বন্ধের জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়।
বিএসএফ মহাপরিচালক কে কে শর্মা ২৯ নভেম্বর দিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেন, আসামের ব্রহ্মপুত্র নদীজুড়ে ধুবড়ি সীমান্তের ৪৮.১২ কিলোমিটার এলাকায় দেশীয়ভাবে তৈরি স্মার্ট বেড়া নির্মাণ করবে।
তিনি বলেন, আকস্মিক অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং সীমান্ত পাহারায় নিয়োজিত সৈন্যদের বিশ্রাম নিশ্চিত করার সমাধান হলো প্রযুক্তি। ২০১৮ সালের অক্টোবরের মধ্যে ধুবড়িতে প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে।
এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ইনফ্রা-রেড রশ্মির সাহায্যে স্মার্ট বেড়া অবৈধ মানব ও পশুর চলাচল শনাক্ত করবে। স্যাটেলাইটভিত্তিক সিগন্যাল কন্ট্রোল রুমকে সতর্ক করবে। কোনো ধরনের লঙ্ঘন ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।
এই এলাকা দিয়ে ব্যাপকভাবে অবৈধ মানব ও পশু পাচার হয়ে থাকে বলে ধারণা করা হয়। বর্তমানে সেখানে নৌকার সাহায্যে টহল দেওয়া হয়। এখানে সীমান্ত চৌকির মতো কোনো স্থায়ী কাঠামো নেই।
শর্মা বলেন, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অত্যাধুনিক ড্রোন চাওয়া হয়েছে। এগুলো পাওয়া গেলে ৪,০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পাহারা দেওয়ার কাজ আরো সহজ হবে।
‘সবচেয়ে অরক্ষিত ও কুখ্যাত এলাকাগুলো’ দিয়ে গবাদি পশু পাচার, জাল ভারতীয় মুদ্রা, অস্ত্র, গোলাবারুদ, মাদক পাচার রুখতে সীমান্ত এলাকায় আরো পাঁচটি ব্যাটালিয়ন (প্রায় ৫,০০০ সদস্য) মোতায়েনের জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন জানিয়েছে বিএসএফ।
বিএসএফ প্রধান বলেন, সীমান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এবং বাংলাদেশীদের সীমান্তে হত্যা করা বন্ধে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর (বিজিবি) সাথে তাদের ‘খুবই আন্তরিক’ সম্পর্ক রয়েছে।
গবাদি পশু পাচার-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ধীরে ধীরে তা কমে আসছে।
তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে ২০ লাখের বেশি গরু পাচার হতো। এখন তা কমে পাঁচ থেকে ছয় লাখে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, চোরাকারবারিদের সাথে সঙ্ঘাতও কমে এসেছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক অতীতে সংঘর্ষে আমাদের দুই অফিসার নিহত হয়েছে। আর ১২০ জনের বেশি লোক আহত হয়েছে।
তিনি বলেন, তার বাহিনী সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় তিনটি ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ আবিষ্কার করেছে।
বিএসএফ ডিজি বলেন, এসব এলাকায় সুড়ঙ্গ নির্মাণ একটি ভয়াবহ উদ্বেগের বিষয়। ইন্দো-পাক এলাকাতেও সুড়ঙ্গ পাওয়া গেছে। এগুলো সন্ত্রাসী ও অস্ত্র পাচারে ব্যবহৃত হয়।